সাতক্ষীরায় স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ নিখোঁজ ৪

সাতক্ষীরার তিন ছাত্রসহ চার যুবক বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিনজনের বয়স ১৫ থেকে ৩৮-এর মধ্যে।

নিখোঁজদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়, একজন কলেজ ও একজন স্কুলছাত্র। অপরজন জীবন বীমার কর্মকর্তা।

পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে শ্যামনগর উপজেলায় দুজন, কলারোয়ায় একজন এবং তালায় একজন রয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে নিজ নিজ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, উপজেলার পরানপুর গ্রামের হাবিব হোসেন সুজন (১৬) বেশ কিছুদিন ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তার বাবা জলিল গাজী জানান, সুজন পরানপুরের এ রউফ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। তিনি আরো জানান, একই দিনে একই সময়ে তার ভাতিজা শাকিল হোসেন দোলন (১৭) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। শাকিল পরানপুরের দাউদ গাজীর ছেলে। এবার এসএসসি পাস করে শাকিল শ্যামনগর সরকারি মহসিন কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। শাকিল থাকত শ্যামনগরের বাধঘাটা গ্রামে।

আবদুল জলিল জানান, তারা দুই ভাই একদিন দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। আবদুল জলিল গত ১২ জুলাই এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানায় দুজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিডি করেছেন।

এদিকে, কলারোয়ায় নিখোঁজ ব্যক্তির নাম মাওলানা জাকির হোসেন ( ৩৮)। তিনি গদখালী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। জাকিরের মা নাসরিন খাতুন জানান, তাঁর ছেলে কলারোয়ায় পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করেন। এরপর মাস ছয়েক আগে কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে চলে যান তিনি। আজও তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। এ বিষয়ে নাসরিন খাতুন কলারোয়া থানায় একটি জিডি করেছেন।

এদিকে, তালার সাতপাকিয়া গ্রামের ছাত্র রাশেদ গাজী (২৪) গত ২০ জুন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। রাশেদ ওই গ্রামের আব্বাস গাজীর ছেলে। আব্বাস জানান, তার ছেলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বিভাগের ছাত্র। যশোর শহরের কদমতলার একটি মেসে থাকতেন তিনি। সেখান থেকে রাশেদ নিখোঁজ হন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেছেন। ছেলের সন্ধান চেয়ে তিনি সম্প্রতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই