সাতক্ষীরায় লবনাক্ত জমির প্রান্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা ॥ লবনাক্ত জমিতে কৃষকেরা বছরে কিভাবে চারটি ফসল ফলাতে পারে, তার উপর দিন ব্যাপী এক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সাতক্ষীরার বিনেরপোতা কৃষি গবেষনা কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৃষক প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বারি’র প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক ড. মো: মুখলেছুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিনেপোতা কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আতিকুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আরএআরএস,যশোর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: জহুরুল ইসলাম,সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক গনেশ চন্দ্র মন্ডল, কৃষিবীদ মো: আবদুল গফুর, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা হওয়ায় অনেক জমি পতিত থাকে। তাই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানীরা একই জমিতে কিভাবে বছরে চারটি ফসল করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। সাতক্ষীরার অনেক জমি আমন ধান কাটার পর পতিত থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীগণ আমন ধান কাটার পর আরও তিনটি ফসল যেন বছরে একই জমিতে করা যায় এই গবেষণায় সফল হয়েছেন। বিজ্ঞানীগণের উদ্ভাবিত শস্য বিন্যাস হল টি. আমন+সরিষা+মুগ+টি. আউশ এই শস্য বিন্যাসটি করলে কৃষকগণ অধিক লাভবান হবেন। কৃষকরা যদি আমনে বিনাধান-৭ করে তাহলে তা কর্তন করতে পারবে ১২০ দিনে, বারি সরিষা-১৪ ও বারি সরিষা-১৫ কর্তন করবে ৮০ দিনে, বারি মুগ-৬ কর্তন করবে ৬০ দিনে এবং আউশ ধান পারিজা চাষ করলে মাত্র ১০৫ দিনে কর্তন করতে পারবে। উল্লেখিত ফসল গুলো লবণ সহিষ্ণু হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলার জন্য উপযোগী শস্য বিন্যাস।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মশিউর রহমান, এস.এম মতিয়ার রহমান, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই