সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুলের সংবাদ সম্মেলন
একরামুল কবীর, ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সাতক্ষীরা : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন এলাকায় নির্বাচণী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে এ অভিযোগ এনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। বরিবার বিকালে ঝাউডাঙ্গা প্রেস ক্লাবে তিনি এ সাংবাদিক সম্মেলনটির আয়োজন করেন।
তিনি লিখিত একটি অভিযোগ পত্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আমি ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল বিএনপি’র মনোনীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী। গত ৫ বছর সুনামের সহিত সফল ভাবে আমার কার্যক্রম চালিয়ে এসেছি। ইউনিয়ন এলাকায় বিগত ১৫ বছর যাবৎ যে সমস্ত কাজ করা সম্ভব হয়নি, আমি সে কাজ গুলো গত ৫ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করেছি। এলাকার রাস্তা ঘাট, কালভার্ট,স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,মসজিদ,মন্দির সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। বহু প্রতিক্ষিত ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতল ভবন নির্মাণ হয়েছে। জনগন শতস্ফূর্ত ভাবে তাদের অর্পিত রাজস্ব জমা দিচ্ছেন।একটি ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যা যা করার প্রয়োজন আমি ইতিমধ্যে তা করেছি। বর্তমানে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নটি একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দ্বার প্রান্তে।
তিনি আরো জানা, বর্তমান সরকার এই প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছেন। আমি বিএনপি’র দলীয় একক প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমার প্রতীক ধানের শীষ। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীক বরাদ্ধ পেয়ে আমি গত ৩ মার্চ থেকে নিয়ম অনুযায়ী প্রচারাভিযানে নেমেছি। কিন্তু গত ৪ ও ৫ মার্চ থেকে ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পাথরঘাটা,৩ নং ওয়ার্ড হাজিপুর ও ৬ নং ওয়ার্ড তুজলপুর এলাকায় আমার নেতা কর্মীদের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে আমার প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নেতা কর্মীরা। ঐ সমস্ত এলাকায় আমার পোষ্টার টাঙ্গাতে দিচ্ছে না। টাঙ্গানো হলেও সে গুলো ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। প্রচার মাইক প্রবেশের উপর নিশেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। মাইকের দোকানদার ও বাহন চালকদেরকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আমার নেতা কর্মীরা উল্লেখিত এলাকায় যেতে সাহস পাচ্ছে না। যেটি নিঃসন্দেহে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন।
তিনি আরো জানান,আমি এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পত্র সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কমিশনারের নিকট জমা দিয়েছি। এবং সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।
মন্তব্য চালু নেই