সাতক্ষীরার কলারোয়ায় লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম
সাতক্ষীরা কলারোয়ায় সরকারী ভাবে কোন তদকারী না থাকায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে দিচ্ছে। সকাল ৯টায় যে পণ্যের দাম ২০ টাকা বিকালে তা বাড়িয়ে ২৫/৩০টাকায় বিক্রি করছে দোকানীরা। কোন নিয়ন্ত্রয়ন নেই পণ্যের বাজারে। সিন্ডেকেটের মাধ্যমে যে যে ভাবে পারছে মনুাফা লুটে নিচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োনীয় পন্য নিম্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম হতাশা ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অঞ্চল হওয়ার সত্বেও কতিপয় কিছু অসাধু পাইকারী ব্যবসায়ী অধিক মনুফার লোভে বেশির ভাগ পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে স্বাভাবীক মুল্যের চেয়ে অধিক মুল্যেয় তা বিক্রি করছে।
কয়েকটি মুদি দোকানে দেখা গেছে, তাদের গোডাউন ভর্তি শত শত বস্তা চিনি জমা করে রেখেছে। শুধু মাত্রই দাম বাড়ানোর অপেক্ষায় রয়েছে তারা।
পৌর বাজারে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে গোল আলু, ঝাল, মিষ্টি কুমড়া, টমেটু, মেটেআলু, বেগুন, কচু, হলুদ, চাউল, ডাল, চিনি, জিরা, পেয়াজ, রসুন, সোলা, সোয়াবিন তেল, বাদামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন পণ্যের মুল্যে সরকারী র্নিধারিত মুল্যের সাথে মিল নেই।
এদিকে বাংলাদেশের কৃষি ফসল ধংস করতে কাকডাঙ্গা বিজিবির সহযোগিতায় ভারত থেকে চোরাচালানীরা প্রতিদিন হাজার হাজার বস্তা কাঁচা ঝাল, গোল আলু নিয়ে আসছে। ভারতে প্রতি কেজি কাচা ঝাল ২০টাকা কেজি আর পুরাতন গোল আলু-১২টাকা এবং নতুন আলু-২১টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আসছে। সন্ধ্যার পরে কলারোয়া তরকারী বাজারে ৩/৪টি আড়োতে এসব মালামাল উঠানো হয়। বর্তমানে ভারতীয় ঝাল ৫০টাকা কেজি, পুরাতন গোল আলু ২৫টাকা আর নতুন আলু ৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখানে বস্তা পাল্টিয়ে যশোরের ঝিকরাগাছা, মনিরামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
আর এ কারনে ক্রেতা ও কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। কলারোয়া বাজারের ক্রেতারা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রয়ন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট উত্তম কুমার রায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই