সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন সময়ের দাবি
দেশব্যাপী ১১ থেকে ১৫ নভেম্বর চলছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ’ ১৫। যেকোন দূর্যোগ-দূর্ঘটনার অন্যতম সাহায্যকারী হিসেবে এ সংস্থার নামডাক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাতক্ষীরার কলারোয়া একটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হওয়া সত্বেও এখানে নেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন ঘেষা সাতক্ষীরা জেলার প্রবেশদ্বার কলারোয়া। ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের এ উপজেলার জনপদ, জনগণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বাড়ি-ঘর, বিভিন্ন হাট-বাজার, ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন অত্যন্ত জরুরী।
অতিসম্প্রতি উপজেলা সদরের কলারোয়া সরকারি কলেজের সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ধারে অবস্থিত বেশ কয়েকটি দোকানে গভীর রাতে বিদ্যুতের সর্টসার্কিটের কারণে আগুন ধরে যায়। উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের ছোট-বড় শতাধিক দোকানও কয়েক মাস আগে গভীর রাতে আগুনে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। উদাহরণ দেয়া এ’ দুটো ঘটনায় আগুন নেভাতে প্রথমে স্থানীয়দের প্রচেষ্টা ও পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সার্বিক চেষ্টার কর্মযঘজ্ঞ প্রশংসনীয়। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্থ ঘটনাস্থলে পৌছুতে বেশ সময় লাগে। কেননা কলারোয়া উপজেলা সদর থেকে সাতক্ষীরা জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। আবার কলারোয়া উপজেলা সদর থেকে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার ও এলাকার দূরত্ব স্থানভেদে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। সবমিলিয়ে দূরত্ব আর নাজুক রাস্তাঘাটের কারণে যেকোন দূর্ঘটনায় উদ্ধারকারী অন্যতম এ সংস্থাটির দেখা পেতে উপজেলাবাসীকে অপেক্ষা করতেই হয় দীর্ঘক্ষণ।
আগুন ধরে যাওয়ার পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনাসহ অন্যান্য দূর্ঘটনা ও দূর্যোগের বিশেষ সহায়ক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কলারোয়ায় স্থাপন অত্যন্ত জরুরী ও সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এর আগেও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলেও তার বাস্তবায়ন এখনো দেখা যায়নি।
স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা জেসমিন জানান, ‘বিষয়টি তাঁর জানা নেই।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজমুল আহসান জানান, ‘প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে কলারোয়ায় জায়গা জটিলতার কারণে ইতোপূর্বে এটি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অফিসে কথা বলে জানাতে পারবো। জায়গার সমস্যা না থাকলে আমি অবশ্যই সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনের কার্যকর পদক্ষেপ নেব।’
এ রিপোর্টটি লেখার সময় বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লার সেল ফোনে কল করা হলে তিঁনি রিসিভ করেননি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এমপি মহোদয় একটি সম্মেলনে আছেন।
অবিলম্বে কলারোয়া উপজেলার সুবিধাজনক যেকোন স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি স্টেশন স্থাপন করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন মহল।
মন্তব্য চালু নেই