সাতক্ষীরারয় হাটবাজারে ইজারাদারদের দৌরাত্মে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নাভিশ্বাস

আশাশুনি উপজেলা হাটবাজারগুলো ইজারা প্রদানের পর ইজারার শর্ত ইজারাদাররা মেনে চলেন না। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে খুব একটা মাথা না ঘামানোয় প্রতিনিয়ত হাটবাজারে ক্রেতা বিক্রেতারা ইজারাদারদের লোকজনের হাতে নাজেহাল হচ্ছে। ইজারা গ্রহনের শর্তবলীর মধ্যে রয়েছে, ইজারা গ্রহনের পরে হাটের প্রকাশ্য স্থানে খাজনা আদায়ের জন্য সরকারি রেট বোর্ড ইজারাদার কর্তৃক ঝুলিয়ে রাখতে হবে। রেট বোর্ডের অতিরিক্ত কোন খাজনা আদায় করা যাবে না। হাট-বাজার অন্য ব্যক্তির কাছে সাব লিজ দেওয়া যাবে না। ইজারা গ্রহনকারিকে হাট-বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এ সকল শর্ত উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে মানা হয় না। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ হাট-বাজারে রেট বোর্ড নেই। প্রত্যেক হাটেই ইজারাদাররা খেয়াল খুশি মত খাজনা আদায় করে। খাজনার হার কোথাও দ্বিগুন, কোথাও দশগুন বাড়িয়ে আদায় করা হচ্ছে। বড় বড় হাট গুলোয় মাছের বাজার, কাচা বাজার, গরুর হাটা ইত্যাদি ভাগ করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মোটা অংকে সাব লীজ দেওয়া হয়েছে। হাটের খাজনা আদায় কেমন এ সম্পর্কে উপজেলার বৃহত্তর হাট বুধহাটা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাাদক মোঃ নজরুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর থেকে কদম আলী একটি গরু বিক্রয় করতে আনেন। গরুটি তিনি ২৪০০০ টাকায় বিক্রয় করলে ১৪৫০ টাকা খাজনা নেয়। অথচ সরকারি নিয়মানুযায়ি প্রতিটি গরুর খাজনা ১৫০ টাকা। বুধহাটা বাজারেই কবেল নয়, অধিকাংশ বাজারে ইচ্ছা মত খাজনা আদায় করায় ইজারাদারদের সাথে ক্রেতা বিক্রেতার তর্কবিতর্ক লেগে থাকে। অনেক সময় লাঞ্চিত হওয়ার মত ঘটনাও ঘটে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই