শান্তি মিশনে গুলিতে নিহত সেনা সদস্য রহিমের বাড়িতে শোকের মাতম
আফ্রিকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত সেনা সদস্য আব্দুর রহিমের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার আফ্রিকায় শান্তি মিশনে কর্মরত অবস্থায় রহিমকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
রহিমের স্ত্রী রুবাইয়া সুলতানা রানু তার পাঁচ মাসের শিশু সন্তান ফারাবিকে নিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। রহিমের মা রওশন আরার আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেশি ইব্রাহিম হোসেন মিঠু জানান, রহিমের মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহিম। স্থানীয় ঝাউডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুল থেকে লেখাপড়া শেষে কলারোয়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছিলেন। কিন্তু অভাবের সংসারে বাবা আব্দুল মাজেদ তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে পারছিলেন না। তাই মাকে আব্দুর রহিম বলেছিলেন- মা একটা কাজ খুঁজতে সাতক্ষীরা যাচ্ছি। মা রওশন আরা প্রতিবেশির কাছে ঝুড়ি বিক্রি করে সাতক্ষীরা যাওয়ার টাকা দিয়েছিলেন। সেদিন অনেক রাতে বাড়ি ফেরে রহিম এসেই মাকে বলেন ‘মা অনেক খিদে লেগেছে খেতে দাও। খাওয়ার সময় রহিম তার মাকে বলেন, মা আমার চাকরি হয়েছে আর্মিতে, আমি দেশের জন্য কাজ করবো, তোমার আর অভাব থাকবে না।’
রহিম প্রথমে কুমিল্লা সেনানিবাস ও পরে ঢাকা সেনানিবাসে যুক্ত হন। পরে সরকারের নির্দেশে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যোগ দেন তিনি। সেখানেও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বৃহস্পতিবার আফ্রিকায় শান্তি মিশনে কর্মরত অবস্থায় রহিমকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
মন্তব্য চালু নেই