‘ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, প্রকাশ্যে সিল মারা হচ্ছে’

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মনিরুল ইসলাম সাক্কু। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে নগরীর হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

ভোট দেয়ার পর মনিরুল ইসলাম সাক্কু অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। প্রকাশ্যে সিল মারা হচ্ছে। বিএনপির ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের আশ্বাস দিলেও এর প্রতিফলন দেখছি না।

তিনি বলেন, আমরা অভিযোগগুলো রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করবে।

এর আগে সকাল ৯টায় কুমিল্লা মডার্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা।

ভোট দেয়ার পর সীমা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে, ফলাফলে জয়-পরাজয় যাই হোক আমি মেনে নেব।

এদিকে, সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে পুরুষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ভোটের শুরুতে কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি

এদিকে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচনী এলাকায় প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে রয়েছে ২৭টি ওয়ার্ড এবং ৯টি সংরক্ষিত আসন। ভোটকেন্দ্র আছে ১০৩টি। সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। ওই সিটিতে নারী ভোটারের সংখ্যা একলাখ পাঁচ হাজার ৪৪৭ জন এবং পুরুষ ভোটারের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ১১৯ জন।

নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন চারজন। এরা হচ্ছেন- সাবেক মেয়র ও বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শিরিন আক্তার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ।

এ ছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন ১১৪ ও সংরক্ষিত কাউন্সিল প্রার্থী ৪১ জন।

কুসিকের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। কোনো ভোট কেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হলে তাৎক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবস্থা নেবে।



মন্তব্য চালু নেই