দাউদকান্দিতে নৈশ প্রহরীকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে ঘাতক বাবু

নিজস্ব প্রতিনিধি॥ দাউদকান্দিতে নৈশ প্রহরীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে ঘাতক জাহিদ হাসান বাবু। উপজেলার গৌরীপুর বাজারের হোমনা রোড সংলগ্ন নিউ মার্কেট-এর নৈশ প্রহরী শফিকুল ইসলামকে (৫০) পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা।

ডিবি সুত্রে জানা যায়, ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী জাহিদ হাসান বাবু তার ২ সহযোগিকে নিয়ে ওই নৈশ প্রহরীকে শ^াসরোধ করে হত্যা এবং পরে নিহতের শরীরে আগুন ধরিয়ে নির্মমভাবে পুড়িয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্র্র মোঃ নূরুল আফছার ওই ঘাতকের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। ঘাতক জাহিদ হাসান বাবু দাউদকান্দি উপজেলার দইয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালামের পুত্র। বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম।

ডিবি পুলিশ, মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্র জানায়, গত ১১ মার্চ গভীর রাতে গ্রেফতারকৃত জাহিদ হাসান বাবু তার ২ সহযোগী নিয়ে গৌরীপুর নিউ মার্কেটের নৈশ প্রহরী (উপজেলার পশ্চিম হুগুলিয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে) শফিকুল ইসলামের নাকে-মুখে কস্টেপ পেঁচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা হাতুরী ও বাটাল দ্বারা ওই মার্কেটের রিভা টেলিকম নামের একটি মোবাইল দোকানের সাটার কেটে প্রবেশ করে দোকান থেকে ৩৫টি মোবাইল সেট এবং দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ৬০ হাজার লুটে নেয়।

ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় ঘাতক বাবু ও তার সহযোগীরা নিহতের ২ হাত শরীরের সাথে কাপড় ও কস্টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর দিন নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা শাখাকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ জানান, ‘দোকান থেকে লুটে নেয়া মোবাইল সেট থেকে ঘাতক জাহিদ হাসান বাবুকে ২টি সেট দেয়া হয়, ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই গত বুধবার বিকালে দাউদকান্দির গৌরীপুর সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার নিকট থেকে লুটে নেয়া ২টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়। এদিকে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে ঘাতক জাহিদ বাবু ঘটনার সাথে জড়িত অপর ২ সহযোগির নাম প্রকাশ করেছে। তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য ডিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই