‘ভোটের আগে কুমিল্লার জঙ্গি আস্তানায় কোনও অভিযান নয়’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে কুমিল্লার কোটবাড়ীতে ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানায় কোনও ধরনের অভিযান চালানো হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, প্রয়োজন হলে ভোট শেষ হওয়ার পর এখানে অভিযান চালানো হবে। জঙ্গি আস্তানার ঘটনায় কুসিক নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকালে এক প্রতিক্রিয়ায় সিইসি এসব কথা বলেন।

প্রতিক্রিয়ায় সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘কুমিল্লার কোটবাড়ীর ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার আগে এখানে কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত জায়গাটি কর্ডন করে রাখা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ভোটের আগে এ ধরনের একটি ঘটনা চিহ্নিত হওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। কারণ এটাকে (জঙ্গি আস্তানা) কেন্দ্র করে নির্বাচনে নাশকতার ঘটনাও ঘটতে পারত। সেই আশঙ্কা এখন অনেকটাই কেটে গেছে।’

এর আগে, বুধবার বিকালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নিকটস্থ কোটবাড়ী এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পুলিশ ধারণা করছে, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ জঙ্গিরা অবস্থান করছে এই বাড়িতে।

কুমিল্লায় এই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য কুসিক নির্বাচনের মাঠের চিত্র বদলে গেছে। এই খবরে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। স্থানীয়দের অনেকেই বলেন, এই ঘটনাটি তাদের উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, জঙ্গি আস্তানার ঘটনায় নির্বাচনে কোনও ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে সিইসি নুরুল হুদা আশ্বস্ত করলেও কুমিল্লার সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কাটছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানান, ‘আমি মুন্সীগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে এসেছি। ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। সেখানে কী করা যেতে পারে তা দেখছি।’

একই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ‘কোটবাড়ীতে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তবে এখানে অভিযানের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’



মন্তব্য চালু নেই