বেত্রাবতী নদীর পানি স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা গ্রস্ত হচ্ছে
সাতক্ষীরা জেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের খাস জমি অবৈধ দখল মুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ইউনিয়ন ভুূমি অফিসের সহঃ তহশীলদার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর পরই খোজ নিয়ে জানতে পারেন ইউনিয়নিয়নের সমস্ত খাস জমি গুলো অবৈধ দখলদারেরা দখল করে রেখেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউনিয়নে খাস জমির পরিমান হলো ২ শ’২৯ দাশমিক ৮৭ একর। এর মধ্যে চাষাবাদ ও সববাস যোগ্য জমির জরিমান হলো ৫৩ দশমিক ৫০ একর, নদী ও খাল এর পরিমান ১৭৬ দশমিক ৩৭ একর। এর মধ্যে ভুমিহীন দের ইজারা দেওয়া আছে ৫০ একর জমি । খাস জমি অবৈধ দখল মুক্ত করার গত তিন মাসে ১০/১২ টি নোটিশ করেছে।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত বেত্রবতী নদীর দু ’পাড়ের খাস জমি অসাধু ব্যাক্তিগণ অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন। তারা নদীর চরে অবৈধ মৎস ঘের করেছেন। আবর কেউবা চরের জমিতে ধান,পাট,সব্জীসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করছেন।
নদীর পূর্ব পাড়ে ওয়ারিয়া,ঝাউডাগা,হাচিমপুর রাজবাড়ি, আখড়া খোলা এবং পূর্ব পাড়ে পাথরঘাটা,হাজিপুর,আমতলা, ছাতিয়ান তলা সহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন নদীর চরের খাস জমি দখল নিয়ে চাষাবাদ সহ পাকা ঘর বাড়ি তৈরী করে বসবাস করছেন। ঝাউডাঙ্গার পাঁকা ব্রীজ থেকে কাঠের ব্রীজ পর্যন্ত নদীর দু’ধারে অসংখ্যা পাকা বাড়ি, ঘর আছে যা সব কটিই হলো নদীর খাস জমিতে। আর এতে করে নদীর স্রোত দারুন ভাবে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে অবিরাম র্বষ্টির কারনে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী বিল গুলোতে প্লাবিত করেছে। ফলে এবারের আমন মৌসূমে জেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
বিগত জামায়াত, বিএপি জোট সরকার নদীর জমি গুলো ভুমিহীন দের মাঝে ইজারা দিয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা বাতিল করে দেন। কিন্তু অবৈধ দখলদার মুক্ত করার জন্য চোখে পড়ার মত তেমন কোন পদক্ষেপ নেই নি।
এলাকার একাধিক মানুষের অভিযোগ গত বছর নদী খননের জন্য যে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল তার সম্পূর্ন কাজ হয়নি। পাথরঘাটা থেকে ঝাউডাঙ্গা বাজারের কাঠের ব্রীজ পর্যন্ত সিডিউল অনুযায়ী খনন করা হয়নি। আর এ জন্য ঠিকাদারের অর্থও আটকে ছিল। কথা ছিল এ বছরের শুস্ক মৌসূমে নদীর উল্লেখিত স্থান খনন করা হবে । কিন্ত বর্ষা মৌসূম প্রায় শেষ হতে চলল নদী খননের কোন নাম নেই।
বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কাছে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজারও চাষীদের একটায় দাবী বেত্রাবতী নদী পূনঃ খনন ও নদীর দু’ধারের অবৈধ দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক স্রোত ধারা তৈরী করে এলাকার বিল গুলোর জলবদ্ধতা দুর করে ফসলী জমি গুলোতে ব্যাপক ভাবে ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হোক।
মন্তব্য চালু নেই