প্রচন্ড খরতাপে কলারোয়ার পাট চাষীরা পড়েছেন মহা বিপদে

একরামুল কবীর, ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সাতক্ষীরা : প্রচন্ড খরতাপের কারনে এবারের মৌসূমে কলারোয়ার পাট চাষীরা পড়েছেন মহা বিপদে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পাট গাছ মরে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমন।

কলারোয়ার একাধিক পাট চাষীরা জানান, গত বছর পাটের দাম বেশী পাওয়ার কারনে চাষীরা এবারের মৌসূমে বেশী করে পাট চাষ করেছেন। কলারোয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এবারের মৌসূমে কলারোয়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৭শ’৮০ হেক্টর জমি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চাষ হয়েছে ২০ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে।

কৃষি অফিস থেকে আরো জানানো হয়, এখন চলছে বোরো কাটার মৌসূম। ধান কাটা শেষ হলে অথবা আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকী ৭ শ’ হেক্টর জমিতে পাট বপন সম্পন্ন হবে। গত বছর পাটের দাম বেশী হওয়ার কারনে এবারের মৌসূমে টার্গেটের চেয়ে অনেক বেশী পরিমান জমিতে পাটের চাষ হবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী এ প্রতিবেদককে জানান।

কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া,কেঁড়াগাছি,চন্দনপুর,জালালাবাদ,কয়লা সহ ইউনিয়ন এলাকার কৃষকেরা জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়নি এবং প্রচন্ড খরতাপের কারনে পাট ক্ষেতে ঘোড়া পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পাট গাছ নুয়ে পড়ছে । কোথাও কোথাও মরে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য কৃষেকেরা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে শ্যালো অথবা ডিপটিউবওয়েল থেকে সেচ দিচ্ছেন। আর পোকার আক্রমন থেকে বাচার জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। স্থান ভেদে পাটের বয়স ২৫ থেকে ৩০ দিন।

এ অবস্থায় কৃষকেরা প্রচন্ড খর তাপ উপেক্ষা করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পাট গাছের পরিচর্যার কাজে। তারা নিয়মিত ক্ষেতের ঘাষ এবং অতিরিক্ত গাছ তুলে ফেলছেন, সেচ দিচ্ছেন এবং কীটনাশক স্প্রে করছেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসূমী বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আসতে আরো বেশ কিছ ুদিন লাগবে। তবে স্থানীয় বায়ুর ফলে আগামী দু’এক দিনে মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পরামর্শ হলো, এ অবস্থায় পাট গাছ বাচিয়ে রাখার জন্য কৃত্রিম সেচ দিতে হবে এবং ডিজিনল অথবা ডায়াজিনল কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই