কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদ (১১/০৭/১৪)
## কলারোয়ার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশনে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত :
কলারোয়া উপজেলার জয়নগরের ধানদিয়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশনের অভিভাবক সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০ থেকে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ওই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৮৩ জন অভিভাবক ভোটারের মধ্যে ২৫৪জন তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচিত ৫জন অভিভাবক সদস্যরা হলেন- মনিরুজ্জামান (১৪১ ভোট), কামরুজ্জামান (১১৪ ভোট), আ.রাজ্জাক (১০৭ ভোট), গোলাম হোসেন (১০৬ ভোট) ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা পদে ইসমোতারা খাতুন (১৩৬ ভোট)। নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন কলারোয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়নগর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মাস্টার আজিজুর রহমান, ইউনুস আলী, সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদ, সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ বাহার প্রমুখ।
## কলারোয়ায় জনসেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’র যাত্রা শুরু:
কলারোয়ায় মানুষের মাঝে চিকিৎসাসেবা ব্রত নিয়ে জনসেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে নতুন একটি ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পৌরসভার দক্ষিণ মুরারীকাটি পালপাড়া মোড়ে কবি আজগর আলি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ আমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি আজগর আলি, মো: শহিদুল ইসলাম, মো: আমিরুল ইসলাম, জীবন কুমার সরকার, আক্তারুল ইসলাম, মাওলানা আহম্মদ আলি প্রমুখ। পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাবু সঞ্জয় কুমার ঘোষের যৌথ পরিচালনায় ক্লিনিকটি জনগনের সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ এলাকায় যাত্রা শুরু করলো।
## বিশিষ্ট সমাজসেবক সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল:
কলারোয়া উপজেলা বিএনপির প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম সিরাজুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহষ্পতিবার বিকেলে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে সিরাজুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম সাজু। উপজেলার আলাইপুর গ্রামে মরহুমের প্রতিষ্ঠিত বায়তুল হামদ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে আয়োজিত ইফতার পূর্ব দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ ফারুক, কলারোয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অহিদুল আলম মন্টু, শেখ আমানুল্লাহ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রইছউদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান আ.রকিব মোল্যা, আলহাজ্ব মিনাজ উদ্দীন, উপাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি আ.রশিদ কচি, অধ্যাপক কামরুজ্জামান পলাশ, অধ্যা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যা.শাহাদত হোসেন, অধ্যা.মোখলেছুর রহমান, অধ্যা.আ.রাজ্জাক, অধ্যা.মশিউল আজম, অধ্যা.আনারুল ইসলাম, অধ্যা.ইউনুস আলী খান, অধ্যা.জামিল আক্তার, অধ্যা.হারুন অর রশীদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সা.সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল, যুগ্ম সা.সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, ইকবাল খান, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, মাস্টার বদরুজ্জামান বিপ্লব, আ.হান্নান, ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ ইমরান হোসেন প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাও. সুলতান মাহমুদ লাল্টু।
## কলারোয়ায় হিউম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ইফতার মাহফিল :
কলারোয়ায় হিউম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌধুরী মার্কেটে আয়োজিত ইফতারপূর্ব আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি ও খুলনা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. জাফর উল্লাহ। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ মাও. আব্দুল বারি, আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আইয়ুব আলি, ঈমান আলি শেখ, কলারোয়া ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল হোসেন, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সা. সম্পাদক মোস্তফা ফারুকুজ্জাামান, সোসাইটির সহ.সভাপতি আবু তালেব সরদার, সা. সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু, কোষাধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলি, আলহাজ্ব কাজী শামসুর রহমান রহমান, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, সাংবাদিক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, এমএ সাজেদ. জুলফিকার আলি, মাস্টার আমজাদ হোসেন প্রমুখ। যাকাতের অর্থ দিয়ে হিউম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গত বছর ৭৯ জন এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা, ৮ জন মেডিকেল ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং ৬ জন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ১৩ জন দু:স্থ মহিলার সেলাই মেশিন প্রদান, অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক তৌহিদুর রহমান।
## ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে অবাধে আসছে ভারতীয় পোশাক-পরিচ্ছদ:
ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবাধে আসছে পুরুষ, মহিলা, শিশুদের পোশাক-পরিচ্ছদ। প্রতিদিনই উপজেলা ১৭কিমির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাধে উপজেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে যাচ্ছে এসকল মালামাল। কখনো কতিপয় অসাধু বিজিবি সদস্যের সাথে যোগসাজসে আবার কখনো বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে এসকল পরিধেয় বস্ত্র বাংলাদেশে ঢুকছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রমরমা পোশাকের চোরাচালান ইতোমধ্যে ব্যাপকহারে শুরু হয়েছে। প্যান্টপিচ, শার্ট পিচ, উন্নতমানের শাড়ি, বাচ্চাদের হরেক আইটেমের পোশাক, পাখি থ্রি-পিচসহ নানান নামীয় মেয়েদের পোশাকে ছেয়ে গেছে অনেক পোশাকের দোকান। বিভিন্ন বাজারের বহু পোশাকের দোকানে ছেলেদের ভারতীয় গেঞ্জি, মেয়েদের ভারতীয় বিভিন্ন নতুন নামীয় থ্রি-পিচ, উন্নতমানের শাড়ি ছাড়া বেচাকেনা যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ক্রেতাদের মাঝেও ভারতীয় পোশাকের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। মূলত ক্রেতাদের চাহিদার কারণেই অবৈধভাবে ভারতীয় এসকল পোশাক পরিচ্ছদ বিকিকিনি করতে বাধ্য হন দোকানীরা। আর দোকানীদের চাহিদা মেটাতে পেশাদার চোরাকারবারীরা ঈদের মৌসুমে ব্যাপক হারে ভারতীয় কাপড় ও পোশাক পরিচ্ছদ অবৈধপথে বাংলাদেশে এনে থাকে। উপজেলার কেঁড়াগাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে হরহামেশা এগুলো আমদানী হচ্ছে। কলারোয়া উপজেলা সদরের কোল্ডস্টোরেজ মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, পুরাতন খাদ্যগুদাম রোড, রূপালী ব্যাংক পার্শ্ববর্তী রোড, হাসপাতাল রোড, ঝাউডাঙ্গা এলাকাসহ বিভিন্ন মোড় দিয়ে প্রতিদিন শতশত নছিমন, করিমন, আলমসাধূ, ইঞ্জিনভ্যান ও মোটরসাইকেল যোগে এসকল পণ্য বাজারস্থ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে মন্তব্য করেন, সীমান্তে বিনাকারণে টহল না দিয়ে এসকল স্থানে অবস্থান করলেও অনেক মালামাল উদ্ধার ও সংশ্লিষ্টদের আটক করা যেত। আবার প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের পরোক্ষ সমর্থন না থাকলে অবাধে চোরাচালানী পণ্য আনা-নেয়া অসম্ভব বলে বিশ্বাস করেন এলাকাবাসী। মাঝে মধ্যে চোরাচালানী পণ্য উদ্ধার হলেও তা চোরাচালানের অংশের যতসামান্য বলে জানান অনেকে।
## কলারোয়া সীমান্তে ভারতীয় নৌকাসহ পোশাক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার:
কলারোয়া সীমান্তের সোনাই নদীর তীর থেকে ভারতীয় নৌকাসহ পোশাক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি। বিজিবি সূত্র জানায়, বুধবার গভীর রাতে চোরাকারবারীদের ধাওয়া দিয়ে মাদরা বিওপির বিজিবি সদস্যরা ভাদিয়ালি সীমান্তের সোনাই নদীর তীর থেকে ভারতীয় একটি নৌকা সহ ২৭৬ পিস থ্রিপিস ও ১৬৬ পিস গেঞ্জি এবং হিজলদি বিওপির বিজিবি সদস্যরা হিজলদি মাঠ এলাকা থেকে ১হাজার পিস যৌন উত্তেজক এ্যানাগ্রা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ৯লাখ ৫৭ হাজার টাকা। তবে এসময় কেউ আটক হয়নি।
## কলারোয়ায় পুলিশি অভিযানে চোরাই মালামালসহ দু’চোর আটক :
কলারেয়া পৌরসভার তুলসীডাঙ্গায় যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পার্শ্বে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ চোরাই মালামাল ও তালাভাঙ্গার যন্ত্রপাতিসহ দু’চোরকে আটক করেছে। আকটকৃতরা হলো তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দীকের পুত্র শাহিন আলম (২৫) ও একই গ্রামের আজিবর রহমানের পুত্র জনি (২০)। এলাকাবাসী ও থানা সূত্র জানায়, গত সোমবার রাতে তুলসীডাঙ্গার সোনিয়া পেট্রল পাম্পের নিকটদুরে প্রধান সড়কের ধারে শাহাজানের দোকানের (ষ্টেশনারি) তালা ভেঙ্গে ২০ ইঞ্চি রঙিন টিভিসহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শাহাজান ও এলাকাবাসীর অনুসন্ধানে কয়েকজনের নাম সন্দেহের তালিকায় চলে আসে। পরে থানা পুলিশের সহায়তা চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সী মোফাজ্জেল হোসেন কনকের নির্দেশনায় থানার এসআই বুলবুল আহম্মেদ ও এএসআই বিশ্বজিৎসহ সঙ্গীয় সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাইমালামালসহ শাহিন আলম ও জনিকে আটক করেন। তবে ওই চোরদের ধরতে থানা পুলিশ কৌশল করে তুলসীডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল (২০) কে আটক করে নিয়ে আসে। থানার এএসআই বিশ্বজিৎ সাংবাদিকদের জানান, নজরুল অনেক আগে এসব কাজে জড়িত ছিলো বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। তাই তার দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামালসহ ওই দু’জনকে আটক করা হয়। তবে এ ব্যাপারে এখনও তদন্ত অব্যাহত আছে। চুরির সাথে নজরুল কিংবা আর কারা জড়িত সেটি অচিরেই তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা এসআই বুলবুল আহম্মেদের। এদিকে, এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, ওই একই রাতে তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আবুল বাশারের বাড়ির মজবুত গ্রীলের তালা ভেঙ্গে তার ঘর থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে মোটরসাইকেলের গোপন সুইজ অন করতে না পেরে তারা বেশ কিছুদুর ঠেলে নিয়ে মোটরসাইকেলটি রাস্তার ধারে একটি ডোবায় ফেলে যায়। তাই ভাগ্যক্রমে মোটরসাইকেলটি খুঁজে পান আবুল বাশার। তবে এ ব্যাপারে তিনি থানায় কোন অভিযোগ দেননি বলে জানা গেছে।
মন্তব্য চালু নেই