কলারোয়ায় রিকশাচালকের স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ।। আটক এক

কামরুল হাসান, কলারোয়া: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বুঝতলা গ্রামে নারিকেল গাছে বেঁধে এক রিকশা চালকের স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি সাবিরুলকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মোহাম্মদ মাসুদ করিম।
কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপজেলার বুঝতলা গ্রামের আব্দুস সামাদ সরদারের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী সাঈদা বেগম জানান, বুধবার সকালে তিনি নিজ বাড়ির সীমানা ঠিক করার কাজ করছিলেন। এমন সময় প্রতিবেশী সৌদ সরদারের ছেলে সাবিরুল সরদার বাধা দেয়। এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সাবিরুল সরদারসহ কয়েকজন তাকে মারপিট করে তার ঘর বাড়ি, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এরপর তিনি থানায় অভিযোগ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে পথিমধ্যে সাবিরুল সরদার সাঈদাকে ধরে নিজ বাড়ির সামনে নারিকেল গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে পিটাতে থাকে। এভাবে দিনভর নির্যাতন করতে থাকলে পার্শ্ববর্তী লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং মুল হোতা সাবিরুলকে গ্রেফতার করেন।
সেনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গরীব সাঈদা খাতুনরে সামন্য জমিটুকু দখল নেয়ার জন্য সাবিরুলসহ তার লোকজন সাইদাকে বেধে এভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মোহাম্মদ মাসুদ করিম জানান, এ ঘটনায় সঈদা খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা (নং-৭/১৬) দায়ের করেছেন।
ইতোমধ্যে ঘটনায় মূল হোতাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অভ্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, সংসারে অভাব অনাটন থাকায় নির্যাতিত সাইদার স্বামী ও বড় ছেলে ঢাকায় রিকশা চালায়। অন্য দুই ছেলে কলারোয়া বাজারে খাবার হোটেলে কর্মচারির কাজ করে।
মন্তব্য চালু নেই