কলারোয়ায় বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২হাজার নম্বর বিহীন মটরসাইকেল

কলারোয়ার বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে চলাচল করছে নম্বর বিহীন ২হাজারের ও বেশী মোটরসাইকেল। দিনের পর দিন এসব নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল এলকায় চলাচল করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচেছ না বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব নম্বর বিহীন মোটরসাইকেলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়েছে চলেছে। পঙ্গু হয়েছে অনেকে। কলারোয়ায় এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর (দুই পা) পঙ্গু হয়ে ঢাকা হাসপাতালে যন্ত্রায় ছটফট করছে। অকালে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ।

সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিস সুত্রে জানা গেছে, কলারোয়ায় প্রায় ২হাজারের ও বেশী নম্বর বিহীন মটরসাইকেল চলাচল করছে। আবার পুলিশের সামনে দিয়ে উপজেলা শহরে অবাধে চলাচল করছে এসব মোটরসাইকেল । এর মধ্যে কেউ কেউ অনটেষ্ট, প্রেস লিখে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পাচার করছে।

কেউ কেউ কলারোয়া থানার ভিতরে প্রেস লেখা মোটরসাইকেল রেখে দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওই প্রেস লেখা মোটরসাইকেলগুলি সর্বদায় অবৈধ মালামাল পাচার করে থাকে। তাদের কাজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি আর চায়ের দোকানে গিয়ে ১শ গ্রাম চিনি দিয়ে এক কাপ চা খাওয়া। অনেকে মোটরসাইকেলের কভারের ভিতরে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসছে। কলারোয়া থানার পুলিশের এএসআই নিতেষ কুমার পাইলট হাই স্কুলের সামনে থেকে একটি প্রেস লেখা মোটরসাইকেল জব্দ করে তার ভিতর থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। যাহা কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। দিনের পর দিন এ সকল সাইকেল চলাচল করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না।

খোঁজনিয়ে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার সড়কে সবচেয়ে নাম্বার বিহীন মটরসাইকেল বেশি চলাচল করে। সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিস এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা না করার কারনে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকাবাসী এসকল অবৈধ প্রেস লেখা মোটরসাইকগুলি আটক করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি ও এলাকায় চোরাচালানসহ অপরাধ দমনের দাবী জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই