কলারোয়া (সাতক্ষীরা) কিছু খবর

কলারোয়ায় জয়নগর ইউপি’র উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

সাতক্ষীরার কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০ টার দিকে দু:স্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। সরসকাটি বাজারস্থ ইউপি ভবনে এই কম্বল বিতরণ করেন ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহম্মেদ।

জানা গেছে, বুধবার ৭০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়।

বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সরসকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইবাদুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, আ’লীগ নেতা আব্দুর রহমান, ইউপি সদস্য জয়দেব সাহা, আব্দুল ওহাব মালি, সচিব ফারুক হোসেন প্রমুখ।

 

কলারোয়া সীমান্তে ভারতীয় কাপড় উদ্ধার
সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে কাকডাঙ্গা বিওপি’র সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ৬১৮ মিটার থান কাপড় উদ্ধার করেছে। তবে উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবি সদস্যরা কাউকে আটক করতে পারেনি।

জানা গেছে, বুধবার সকাল ৬ টার দিকে এফএস সদস্য ফুরকানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাবিলদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তবর্তী বোয়ালিয়া গ্রাম থেকে এই ভারতীয় থান কাপড় উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪শ’ টাকা।
কলারোয়া সীমান্তের ৩ গ্রামের মানুষ নতুন শহিদ মিনারে পুষ্প অর্পণের অপেক্ষায়
সাতক্ষীরার কলারোয়ার সীমান্ত জনপদ চান্দুড়িয়া, কাদপুর ও গোয়ালপাড়া গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিলো-চান্দুড়িয়া বাজারে একটি শহিদ মিনার নির্মাণের। চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাঁশ-কলাগাছ দিয়ে শহিদ মিনার বানিয়ে এলাকার ভাষাপ্রেমি মানুষ শহিদ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতেন।

অবশেষে গত বছর চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এলাকার ভাষাপ্রেমি মানুষের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয় একটি শহিদ মিনার। গত ফেব্রুয়ারিতে এই শহিদ মিনারে এলাকার মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ভাষাশহিদদের প্রতি। কিন্তু শহিদ মিনারটির সম্পূর্ণ কাঠামো পরিপূর্ণতা পায়নি গত বছর। এটিতে টাইল্স বসানোর পাশাপাশি সব কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেছে। আর পরিপূর্ণতায় ভরা শহিদ মিনারটিতে এই প্রথমবারের মতো পুষ্প নিবেদন করবেন এলাকার ভাষাপ্রেমি মানুষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। শহিদ মিনারটির নির্মাণ শৈলী চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। একটি শহিদ মিনার যে জনপদের মানুষের কাছে একটি স্বপ্ন ছিলো, সেটি এখন পূর্ণ রূপে এখন দন্ডায়মান। এটি নির্মাণে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় যিনি সবার থেকে এগিয়ে তিনি হলেন চন্দনপুর বলাকা সংঘের সভাপতি নাছির উদ্দিন। তবে এলাকার ভাষাপ্রেমি সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের অবদান থাকায় সব মিলিয়ে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন শহিদ মিনারটি।

কাদপুরের সামাজিক ব্যক্তিত্ব জাহিদ হাসান টিপু বলেন, গত বছর(২০১৪) এই শহিদ মিনারে আমরা পুষ্প অর্পণ করেছিলাম। আর এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা পরিপূর্ণতা পাওয়া শহিদ মিনারে প্রথম পুষ্প অর্পণ করবো। আর একুশের রাতের সেই প্রহরের অপেক্ষায় দিন গুণছেন এলাকার ভাষাপ্রেমি প্রতিটি মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই