কলারোয়ায় খালুর নির্যাতনে ২ বছর স্কুল ছাত্রী ।। গ্রেফতার লম্পট খালু
জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ কলারোয়ায় লম্পট খালুর লালসায় স্বীকার হলো এক ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী। থানা পুলিশ খবর পেয়ে লম্পট আসাদুল ইসলামকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে,উপজেলার উত্তর ভাদিয়ালী গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার শাহাপুর গ্রামের লিয়াকাত আলী সরদারের কন্যা ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী (১৭) লেখা পাড়ার করার জন্য তার খালু উপজেলার উত্তর ভাদিয়ালী গ্রামের লিয়াকাত আলী দালালের ছেলে আসাদুল ইসলামের বাড়ীতে যায়।
সেখানে দীর্ঘ ২বছর থেকে ভাদিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া শুনা করে। বর্তমানে ওই ছাত্রী ৯ম শ্রেণীতে পড়া শুনা করছে। এর মধ্যে কু-নজর পড়ে খালু আসাদুল ইসলামের। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলে তার নানা কৌশলে নির্যাতন। প্রায় সময় ঘুমন্ত অবস্থায় লালসায় স্বীকার হয় সে। বর্তমানে ওই স্কুল ছাত্রী লম্পট খালুর হত থেকে রক্ষা পাওয়া চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নী।
গত ১৬ এপ্রিল-২০১৬তারিখে দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রী তার নানীর বাড়ীতে দুপুরে ঘুমিয়ে পড়ে। এই ঘটনা জানতে পেরে লম্পট আসাদুল ইসলাম সেই ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে নির্যাতন শুরু করে। এই সময় তার নানী বিষয়টি দেখে স্কুলর ছাত্রীর মাতা হাসিনা খাতুনকে জানায়। পরে বিষয়টি লোক লর্যার ভয়ে কাউকে না জানিয়ে তার মেয়েকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে।
পরে ওই লম্পট আসাদুল ইসলাম তার বাড়ীতে গিয়ে জোর পুর্বক ওই স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কোন ভাল দিক না পেয়ে অবশেষে স্কুল ছাত্রীর মাতা হাসিনা খাতুন কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
পরে তার দেওয়া অভিযোগটি থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে মঙ্গলবার এজাহার হিসাবে রেকর্ড করে। যার মামলা নং-০৫(৬)১৫। এর আগে রাতেই থানার এসআই মুন্সী মাফিজুর রহমান মাফিজ ওই লম্পট আসাদুল ইসলামকে আটক করেন। এদিকে এই জঘন্য ঘটনা এলাকায় প্রকাশ হলে এলাকাবাসী লম্পট আসাদুল ইসলামের ফাঁসির দাবী করেন।
মন্তব্য চালু নেই