কলারোয়ার মেধাবী ছাত্র হেলাল ঢাবি ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনিত
গত ২১/৫/১৬ তারিখ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পেয়েছেন বেনজির আহমেদ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্স-এর ছাত্র তিনি। ছাত্র-রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন কলেজ জীবন থেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার পর মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এবার ঢাবি ছাত্রলীগে সহসভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে চান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বড়ালী গ্রামের সন্তান বেনজির আহমেদ।তিনি সোনাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ এসএসসি এবং কলারোয়া সরকারী কলেজ থেকে ২০০৬ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনিত হওয়ায় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগসহ সকল ইউনিটের নেতা কর্মীরা তাকে প্রানঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ-আল-হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের যৌর্থ স্বাক্ষরিত এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের সুপারিশ ক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমির্টিতে বেনজির হোসেন হেলালকে ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনিত করা হয়।
নিজের ছাত্ররাজনীতির শুরু সম্পর্কে বলেন, ‘‘যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, পড়তে শিখেছি তখন থেকেই একটি নাম ও সেই নামের সাথে রচিত ইতিহাস আমাকে মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আর সেই নামটি হল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালীর মুক্তির স্বপ্নসারথী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আমি ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হই কলেজ জীবনে। আমি তখন কলারোয়া সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ি। কলেজের বড় ভাইদের সাথে বিভিন্ন প্রকারের প্রোগ্রামে অংশ নেই। “এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ইউনিটে ছাত্র-রাজনীতি শুরু করি। ছাত্র-রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পিছনের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ব্যক্তি জীবনের চাহিদা-লালসা থেকে বেড়িয়ে এসে বাংলার মা, মাটি ও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা ও ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস আমাকে ছাত্র-রাজনীতিতে যুক্ত হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
আমার মতে ছাত্র রাজনীতি করতে হলে আপনার মাঝে যে গুণটি অবশ্যই থাকতে হবে তা হল মানুষের প্রতি ভালবাসা ও উদার মানসিকতা।” বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আপনাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে না। তা ১৯৭১ সালেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আপনারা নিজের মাঝে ব্যক্তি জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিফলন ঘটান।”
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির সময়ে তরুণরা খুব সহজে ভুল পথে পরিচালিত হতে পারে। তাই তাদেরকে সর্ব প্রথম সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। এ কাজটি করা যেতে পারে বহু উপায়ে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অনেক যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন: বই প্রকাশ, ডকুমেন্টারি, চিত্র প্রদর্শনী, ওয়েবসাইট বা ব্লগে লেখা, মোবাইল প্রোগ্রাম তৈরি করা। আমাদের এ কাজগুলো নিয়মিত করতে হবে।”
নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বেনজির আহমেদ বলেন , “জাতির পিতার আদর্শ নিজের মাঝে প্রতিফলিত করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে যেতে চাই।”
মন্তব্য চালু নেই