কলারোয়ায় কাস্টমস করিডোরে সীমাহীন দূর্ণীতি ও অনিয়ম

একই রশিদে একাধিক, ভুয়া, নাম্বারবিহীন ভারতীয় গরুর রাজস্ব দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা তছরুপ

কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া কাষ্টমস করিডোরে মাষ্টার রোল পিয়ন দিয়ে আদায়কৃত শুল্কের লাখ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা সহ গুরুতর অনিয়ম ও সীমাহীন দূর্ণীতির চাঞ্চল্যকর দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে সরকার প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী কাষ্টমস করিডোর পরিচালনার দায়িত্ব একজন সুপারের উপর ন্যাস্ত। সুপারের নীচে কোন কর্মকর্তার অর্থনৈতিক মতা অর্থাৎ শুল্ক আদায়ের মতা নেই। সুপারকে সহায়তার জন্য এই করিডোরে  ২ জন পরিদর্শক ২ জন সিপাহী পোষ্টিং রয়েছে। কিন্তু এই কাষ্টমস করিডোরের সুপার সহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীর কেউ সোনাবাড়িয়া করিডোরে অবস্থান করে না। সুপার কখনো মাসে একবার কখনো ২ মাসে একবার সোনাবাড়িয়া কাষ্টমস করিডোরে আসেন। ছুটির দিন তো দূরের কথা অফিস চলাকালে কোন কোন দিন আঃ রশিদ নামে একজন সিপাহী বেলা ১০ বা ১১ টায় করিডোরে আসেন। মাঝে মাঝে একজন পরিদর্শক ইচ্ছা খুশি মত সোনাবাড়িয়া করিডোরে আসেন। আর সাতীরায় বসে সুপার কর্তৃক শুল্ক আদায় বইয়ের হাজার হাজার পৃষ্ঠায় স্বার করে সোনাবাড়িয়া কাষ্টমস করিডোরে মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউলের কাছে পাঠান। মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউল প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে সুপারের স্বার করা পৃষ্টায় গরু ব্যবসায়ীর নাম লিখে শুল্কের রশিদ প্রদান শুরু করে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউল ইসলাম খাটাল মালিকের লোকজন দিয়ে লেখার কাজ সম্পন্ন করে। তারপরেও লেখা বাবদ মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউল ইসলাম সরকারী শুল্ক ৫’শ টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত ২০ টাকা গ্রহণ করেন। এই শুল্কের রশিদে গরুর বর্ণনার ঘর ফাকা রাখা হয়। গরুর বর্ণনার ঘর ফাকা রাখার সুযোগে খাটাল মালিকদের সহায়তায় একই রশিদে একাধিকবার গরু নিয়ে যাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করেন। এভাবে রবিউলের মাধ্যমে মাসে ২/৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কাষ্টমের মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউল ইসলাম ব্যাংকে এই টাকা জমা প্রদানের কাজ করেন বলে ব্যাংক সুত্রে জানা গেছে। কাষ্টমের এই দূর্ণীতির সুযোগে কখনো কখনো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নাম্বার বিহিন ভারতীয় গরু মহিষ দেশের অভ্যান্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে শুল্ক ফাকি দিয়ে বিপুল সংখ্যক গরু-মহিষ দেশের অভ্যান্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সুত্র মতে, কাষ্টমের এক কর্মচারীর সহায়তায় মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউল ইসলাম ভূয়া কাষ্টমস রশিদ তৈরি মোটা টাকা পকেটস্থ করছে। এছাড়া মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউল ও কাষ্টমের সেই কর্মচারী আদায় করা শুল্কের লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ে লিপ্ত রয়েছেন। তবে খাতাপত্র ঠিক রাখার জন্য মাস শেষে সেই টাকা ব্যাংকে জমা করেন। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ কর্ম দিবসে তাদের পকেটস্থ  ৫৬ লাখ টাকা সোনাবাড়িয়া কৃষি ব্যাংকে জমা দিয়ে খাতাপত্রে মাসের হিসাব ঠিক রাখেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়। এর আগে ২০১৩ সালে আগষ্ট মাসে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এই করিডোরের দূর্ণীতির খবর প্রকাশ হলে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে একযোগে ষ্টান্ডরিলিজ করা হয়। ফলে ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসের শেষ কর্ম দিবসে পকেটস্থ ৫৬ লাখ টাকা সোনাবাড়িয়া কৃষি ব্যাংকে জমা প্রদান করে তারা কর্মস্থল ত্যাগ করেন। কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে দূর্ণীতিবাজ সেই কাষ্টমস কর্মচারী পুনারায় বদলী হয়ে সোনাবাড়িয়া করিডোরে যোগদান করে ভূয়া কাষ্টমস রশিদ তৈরি করে মোটা অংকের সরকারী রাজস্ব লোপাটের মত গুরুতর অপরাধের সংগে জড়িত হয়ে পড়েছেন বলে সুত্র জানায়। এভাবে ভূয়া কাষ্টমস রশিদ ব্যবহারের ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

সোনাবাড়িয়া কাষ্টমস করিডোরের পাশে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অবস্থানরত চেয়ারম্যান জানান, সোনাবাড়িয়া করিডোরে পিয়ন রবিউল ইসলাম এবং কাষ্টমস সিপাহী আঃ রশিদ ছাড়া আর কেউ আসে না। কাষ্টমস সুপার বিষয়টি জানেন না। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সোনাবাড়িয়া কাষ্টমস করিডোরে যেয়ে মাষ্টার রোল পিয়ন রবিউল ইসলামকে খাটালের ৭/৮ কর্মচারী নিয়ে সুপারের স্বার করা শুল্ক বইয়ের পৃষ্টায় গরু ব্যবসায়ীর নাম লিখতে দেখা যায়। সুপার বা অন্য কর্মকর্তাকে কখন পাওয়া যাবে জানতে চাইলে রবিউল ইসলাম বলেন, সময় হলে উনারা আসবেন। সোনাবাড়িয়া কাষ্টমস করিডোরে পোষ্টিং কামরুজামান নামে এক কাষ্টমস ইন্সপেক্টরের সংগে গত কয়েক দিন যাবৎ মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রতিদিন তিনি কোর্টের কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন বলে করিডোর সংক্রান্ত তথ্য প্রদান এড়িয়ে যান। এদিকে বুধবার এ সংবাদ লেখার সময় সাতক্ষীরায় কাষ্টমের এসি অফিসে টেলিফোন করা হলে কেউ টেলিফোন রিসিভ করে নি ।

 

 

কলারোয়ায় থানা পুলিশের অভিযানে ৪ব্যক্তি আটক
কলারোয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর-সাতীরার মহা সড়কের উপর থেকে যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩০), একই এলাকার আঃ সাত্তারের পুত্র মাজাহারুল ইসলাম (৩২), উপজেলা পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের শাহেব আলীর পুত্র রবিউল আলম (৩৩) ও দেয়াড়া গ্রামের মৃত নেছার আলী সরদারের পুত্র খোরশেদ আলী (৪৫) কে আটক করে। আটককৃতরা সন্দেহ জনক ভাবে এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ও শুক্রবার ভোর রাতে  ঘোরা ফেরা করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে আটককৃতরা এলাকায় চুরি কাজের সাথে জড়িত রয়েছে বলে থানা পুলিশের ধারনা।

 

কলারোয়ায় মদ ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার
খালেকুজ্জামান পল্টু, সীমান্ত সংবাদদাতা (কলারোয়া) সাতক্ষীরা :: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সীমান্তে মদ ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি। বিজিবি সূত্র জানায়, উপজেলার চান্দুড়িয়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা শুক্রবার ভোরে সীমান্তবর্তী কাদপুর গ্রাম থেকে ভারতীয় ১৯ বোতল মদ ও ১ হাজার পিস যৌন উত্তেজক ‘মখমলগ্রা’ ট্যাবলেট উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ৯৮ হাজার ৫শ’ টাকা। তবে এসময় বিজিবি কাউকে আটক করতে পারেনি।

কলারোয়ায় সেকায়েপ প্রকল্পভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা পুরস্কার বিতরণ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকায়েপ প্রকল্পের আওতায় কলারোয়া উপজেলাধীন ৩২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ২৩৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ২০১৪ সালের উদ্দীপনা পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সর্বমোট বরাদ্দ ছিল ২ ল ৩৮ হাজার টাকা। তন্মধ্যে সর্বমোট ২ ল ৩৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। =৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা ফেরৎ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থী =১,০০০/-(এক হাজার) টাকা হারে উদ্দীপনা পুরস্কার প্রদান করা হয়। সাধারণত প্রতি বছর বার্ষিক পরীার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্র ও ছাত্রীকে এই উদ্দীপনা পুরস্কার প্রদান করা হয়। উদ্দীপনা পুরস্কার প্রাপ্ত নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিার্থীদের মধ্যে যারা ২০১৩ সালের জেএসসি পরীায় জিপিএ ৫ পেয়েছে শুধুমাত্র তারাই নবম শ্রেণিতে উদ্দীপনা পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুলে এই উদ্দীপনা পুরস্কারের অর্থ বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব রক শেখ জাহিদ হাসান, অফিস সহকারী সমর কুমার দেবনাথ ও এমএলএসএস মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড সাতীরা শাখার কর্মকর্তা  মোঃ জাকাতুল্লাহ, মোঃ শাহাদাত। উপজেলা মাধ্যমিক শিা অফিসার মোঃ আবদুল হামিদ জানান যে, উদ্দীপনা পুরস্কারের এই অর্থ বিতরনের ফলে শিার্থীদের মাঝে পরীায় ভাল ফলাফল করা, ভালভাবে লেখাপড়া করার উৎসাহ সৃষ্টি হবে। ফলে শিার মানোন্নয়নে উদ্দীপনা পুরস্কার ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



মন্তব্য চালু নেই