আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কের বড় অংশের পীচ উঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিতে
আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কের একটি বড় অংশ পিচ উঠে গর্তেও সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এসব স্থানে বড় বড় গর্তেও সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পড়বে সড়ক ব্যবহারকারীরা।
আশাশুনি থেকে সাতক্ষীরা ২৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ সড়কটি এলাকার অতি গুরুত্বপূর্ণ ও জেলা সদওে যোগাযোগের পথ। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন আশাশুনি উপজেলার পাশাপাশি কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, পাইকগাছা ও কয়রা এলাকার বহু মানুষ এই পথে যাতয়াত কওে থাকে।
ঘোলা থেকে সাতক্ষীরা ও বাঁকা থেকে সাতক্ষীরা রুটের অসংখ্য মিনিবাস এবং বিভিন্ন সড়কের ট্রাক, মাইক্রো, পিকআপ, টেম্পু, মটর সাইকেল, ইঞ্জিন ভ্যান, নসিমন-করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন যাত্রী নিয়ে এ সড়কে নিয়মিত যাতয়াত কওে থাকে। সড়কি নির্মানের পর মাত্র ২ মাসের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পিচ ইঠে গিয়ে খোয়া বেরিয়ে আসতে থাকে। এনিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট করার পর সড়কে দ্বিতীয় দফায় অপকর্ম ঢাকতে কিছু কাজ করা হয়। কিন্তু সেটিও বেশি দিন টিকেনি। ফলে সড়কের অনেক স্থানে পুনরায় পিচ উঠে খোয়া বেরিয়ে যেতে থাকে। ক্রমান্বয়ে বড় বড় খাদেও সৃষ্টি হতে শুরু করে।
নওয়াপাড়া, বুধগাটা, কুল্যা, চাদপুর, ঘোলঘলা মাঠ, কোমরপুর, জাহানাবাজ, দহাকুলা ও পৌরসভার মধ্যে অসংখ্য স্থানে সড়কটি চরম ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। গত বর্ষা মৌসুমে কোন কোন স্থানে ইটের টুকরো ও মাটি-বালি ফেলে সড়কটি চলাচাল উপযোগিতা রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল। বর্তমানে ঐসব স্থানে যানবাহন চলার সময় ধুলো-বালিতে এলাকা একাকার হয়ে যায়।
যাত্রীসাধারণ ধুলোয় ডুবতে ডুবতে চোখ-মুখ বন্ধ কওে কোন রকমে যাতয়াত কওে আসছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার না করা হলে বর্ষা মৌসুমে সড়কটি চলাচল বন্দেও উপক্রম হতে পারে। এলাকবাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মাথায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জোর দাবী জানিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই