সাতক্ষীরায় জামায়াত নেতার বাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযান, বিপুল পরিমান গোপন নথি উদ্ধার

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধলবাড়িয়া গ্রামের জামায়াতের কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দেস আব্দুল খালেকের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে কর্ম পরিকল্পনা, জিহাদী বই, আর্থিক খাতের বিবরণ, পৃষ্টপোষকদের নামের তালিকা, নাশকতা পরিকল্পনার বিবরনসহ বিপুল পরিমান গোপন নথি উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে গোপন বৈঠকে উপস্থিত কোন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের কথা জানান।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরার জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা খুলনা ও বাগেরহাটে রাজনৈতিক কাজ পরিচালনা করেন। এমনকি ওই জেলাগুলোতে যেসব নাশকতা হয়, তা সাতক্ষীরার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরাই করেন। আবার খুলনা-বাগেরহাটের নেতা-কর্মীরা সাতক্ষীরাই এসে নাশকতা চালান। তাদের কর্মপরিকল্পনা সম্বলিত নোট বইয়ের তথ্য যাচাই করে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, নোট বইয়ে তাদের এবছরের পরিকল্পনা লিপিবদ্ধ রয়েছে। রয়েছে খুলনা বিভাগীয় বিভিন্ন জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের নামের তালিকা। অপর একটি নোট বইয়ে সংগঠনটির পৃষ্টপোষকদের নামের তালিকা রয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমান জিহাদী বইও উদ্ধার করা হয়েছে যৌথবাহিনীর অভিযানে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী ডা. শফিকুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে লেখা সরকারী সংস্থাসমুহের বিরুদ্ধে নাশকতামুলক কর্মকান্ড পরিচালনার তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত পত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গোপন নথিতে জামায়াতের আর্থিক খাত সংক্রান্ত বিষয়াদিও বিস্তারিত লিপিবদ্ধ রয়েছে। এমনকি জেলা জামায়াতের তহবিলে কোটি টাকারও অধিক টাকা আর্থিক অনুদান হিসেবে জমা হওয়ারও বিষয়াদি লিপিবদ্ধ রয়েছে গোপন নথিতে।
তিনি আরো জানান, অভিযানে ১৩টি ডায়েরী, হাফ ডজন পকেট নোট বই, ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের বার্ষিক প্রতিবেদন, খুলনা অঞ্চলের সাংগঠনিক রিপোর্ট ও আয় ব্যয়ের হিসাব, অর্ধ শতাধিক গোপন নথিপত্রসহ বহু জিহাদী বই উদ্ধার হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার এএসআই মামুন হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই