যে কারণে কুসিকে হারলেন আ.লীগ প্রার্থী সীমা

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা পরাজিত হয়েছেন। ফলে সংসদের বাইরে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু কুসিকে আবারও নগরপিতা হিসেবে বসতে যাচ্ছেন।

কুসিক নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে নৌকার ব্যাজধারী বেশী কর্মী দেখা গেছে সেখানেই ধানের শীষের ভোট বেশী পেয়েছে। এছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দী ‘আফজাল বাহার দ্বন্দের বলি’ হয়েছেন সীমা, এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আ ক ম বাহারউদ্দিন বাহারের সঙ্গে সীমার পিতা এ্যাড. আফজাল পরিবারের প্রকাশ্য বিরোধ থাকায় তিনি নির্বাচনে সীমার পক্ষে তেমনভাবে কাজ করেননি।

অনেকে অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগে যারা দিনে আফজাল ও সীমার পক্ষে ছিলেন, রাতে তারা সাক্কুর হয়ে কাজ করছেন, আর ভোটের দিন তারা সীমার নৌকা প্রকীকের ব্যাজ পরে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সাক্কুকে বিজয়ী করেছেন।

এদিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ১০৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রে ৬৮ হাজার ৭৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৬১ ভোট।

বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মনিরুল হক সাক্কুর কন্ট্রোলরুম সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে দুটি স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ভালো। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই