দাউদকান্দি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, জসিম হাসান সুন্দর সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেন

যুগে যুগে এমন কিছু মানুষের উদয় হয় সমাজে যাদের আলোয় সমাজ আলোকিত হয়। অন্ধকারকে পিছনে ফেলে যারা সত্য-সুন্দরকে বুকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলে। শত বাঁধা-বিপত্তিকে ডিঙ্গিয়ে একসময় সঠিক একটি জায়গায় এসে দাঁড়াতে সক্ষম হয় এসব মানুষ। তেমনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী আলোকিত মানুষ দাউদকান্দির বিশিষ্ট সমাজকর্মী মোঃ জসিম হাসান। তিনি ২মে ১৯৬৫ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জামালকান্দি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম সামছুল হক সরকার। মাতা মোসাঃ ফুলমতি বেগম। তিনি ছোটকাল থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃত্ত হয়ে মানুষের জন্য নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

একসময় জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় ব্যবসা শুরু করেন এই সমাজকর্মী জসিম হাসান। ব্যবসায় ব্যাপক সফলতা আসার পর তিনি দাউদকান্দির বহু মানুষকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, চাকুরী প্রদান, এলাকায় রাস্তাঘাট নিমার্ণ, মসজিদ-মাদরাসা তৈরি, স্কুল-কলেজ উন্নয়নসহ সকল সামাজিক কর্মকা-ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। দাউদকান্দির এমন কোন সমস্যাগ্রস্ত মানুষ নেই যে, জসিম হাসানের দ্বারস্ত হয়ে খালিহাতে ফিরে আসেন। তিনি মানুষের বিপদ-আপদে নিজের সমস্যার কথা অকপটে ভুলে যান। মানুষজন যখন তাদের সমস্যায় জসিম হাসানকে ডাকেন, তখন পাগলের মত ছুটে চলেন সমস্যা সমাধানে তিনি। এলকার উল্লেখযোগ্য বিশিষ্টজনরা মনে করেন, এই সমাজসেবী সত্যিকার অর্থেই একজন সাদা মনের মানুষ। যার বিন্দুমাত্র কোন লোভ-লালসা নেই, নেই কোন অহংকার। যিনি মানুষের মঙ্গল ছাড়া অন্যকিছু ভাবার সময় পান না। তিনি প্রকৃতই একজন সমাজকর্মী। জনগন তাকে নির্বাচিত করলে সমাজ সত্যিকার অর্থে লাভবান হবে। এমন নিঃস্বার্থ, সহজ-সরল সমাজের জন্য নিবেদিত প্রাণ তারুণ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন বৈকি।

আমরা এই বিশিষ্ট সমাজসেবক জসিম হাসানের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন, ‘আমি সমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমি মনে করি, আমার কাজ সবেমাত্র শুরু হওয়ার পথে। সামাজিক জীব হিসেবে আমার যে দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে তা পালন করার জন্যই আমি ৯ মে দাউদকান্দি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য এসেছি। সমাজ এখন কুসংস্কার অন্ধকারাচ্ছন্ন। চারদিকে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সুদ-ঘুষ, হত্যা, রাহাজানি, ক্ষমতার অপব্যাবহারসহ মাদক নীল বিষে জর্জরিত। এইসব সমস্যা সমাধানে আমাদের তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমি বরাবরই জাতির সম্পদ তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি। তরুণরাই পারে এই জাতিকে পতিত সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে।

আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রবীণ হিরের টুকরো আর নবীন আলোর মেলবন্ধনে আমরা এই সমাজকে সত্যিকার অর্থে একটি আলোকিত সমাজ বিনিমার্ণে সক্ষম হবো এবং দাউদকান্দিবাসীকে আমরা উপহার দিতে পারবো একটি মডেল উপজেলা। উল্লেখ্য যে, ৯ মে দাউদকান্দিতে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই