তাহিরপুরে টাংগুয়ায় জল-জোৎস্না উৎসব শুরু কাল

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাংগুয়ার হাওরের ১৬-১৭সেপ্টেম্ভর দু-দিন ব্যাপি জল জোৎস্না উৎসব শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। এ উৎসব কে স্বার্থক ও সফল করতে উৎসবে আমন্ত্রিতদের সুযোগ,সুবিধা, সফল করা জন্য ১০টি কমিটি,উপকমিটি গঠন এবং নিরাপত্তার থাকবে পুলিশ,বিজিবির সদস্য।

জানা যায়,উপলক্ষ্যে এ দু-দিন ব্যাপি উৎসব কে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানান আয়োজন। অনুষ্টানের শুরু সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্ভোধন করবেন সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেনর রতন,অন্যানের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন,সুনামগঞ্জ ৪আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ,সুনামগঞ্জ ও মৌলভী বাজার সংরক্ষিত আসনের এমপি শাহানা রব্বানী,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম,সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুনর রশিদ,সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়ান বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি,জেলার ১১টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন সহ বিএনপি,আ,লীগ,বিভিন্ন সামাজিক,সাংকৃতিক সংঘটনের নেতৃ বৃন্ধ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উদ্ভোধনের পর সাড়ে ১০টায় অর্ধশতাধিক নৌ-বহর পর্যটকদের নিয়ে রওনা হবে ট্যাকেরঘাট। দর্শনার্থীদেন দেখানো হবে বাংলার কাশ্মীর বলে খ্যাত নীলাদ্রী লেক (ট্যাকেরঘাট খনিজ পাথর পরিতাক্ত কোয়ারী),সাথেই আছে চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের একটি রেষ্ট হাউজ,এই রেষ্ট হাউজের বাড়ান্দায় দাড়িয়ে ভারতের মেঘালয় পাহাড়কে দেখা যায় অনায়ে সেই।

এছারাও রয়েছে ছোট বড় ১৮টি ভারতের মেঘালয়ের বুক চিড়ে নেমে আসা পাহাড়ী ছড়া,রয়েছে বড়ছড়া জির পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে শত শত ট্রাক দিয়ে আসা চুনাপাথর ট্রাক দিয়ে ভারতের উচু পাহাড় দিয়ে নামার এক দুসার্হসীক পরিবহন যাত্রা। সেই সাথে পাহাড়ী আকা বাকা রাস্তা,পাহাড় জির পয়েন্টে গেলে মনে হবে আপনার হাতের কাছেই। এছাড়াও আশ পাশের দর্শনীয় স্থান গুলো দেখার পর দুপুরের খাবার (তালিকা বদ্ধ দর্শনার্থী) তার পর বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যেই রওনা হবে টাংগুয়ার হাওরের।

বিশাল হাওরের বুকে হিজল-করচ বাগান সহ বিভিন্ন বিল জলাশয় দেখা সহ বিভিন্ন অনুষ্টান। এর পর সন্ধ্যায় ভাসমান মঞ্চে শুরু হবে ঢাকা থেকে আসা বিভিন্ন শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ। রাত ১০টায় রাতের খাবার (তালিকা বদ্ধ দর্শনার্থী) পর এই অনুষ্টানের মূল আকর্শন ভরা পূনির্মায় জল জ্যেৎ¯œা উপভোগ। ১৭তারিখ শরিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সকালের নাস্তার পর (তালিকা বদ্ধ দর্শনার্থী) আবার নৌ যাত্রা শুরু যাদুকাটা নদী ও বারেক টিলায়।

সেখানে অবস্থিত সীমান্ত এলাকা বারেক টিলা,বড়গুফ টিলা,কড়ইগড়া আদিবাসি পল্লøী ও তাদের সংস্কৃতি উপভোগ,ইসকন মন্দির,অধৈত প্রভুর মন্দির(পনতীর্থ),শাহ-আরেফিন মোকাম সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখা। এর পর বিকাল ৫টায় অনুষ্টানের সমাপ্তি। এর পর নৌ বহর রওনা হবে তাহিরপুর সদরের উদ্দ্যেশে। টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা রফিকুল,মেহেদী হাসান জনমেজর ভূঁইয়া,ডাঃ কৌষিক পাল,নিউটন রায় সহ বিভিন্ন পর্যটকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,তাহিরপুরে টাঙ্গুয়া,যাদুকাটা,বারেকটিলা সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা দেখতে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন শহর থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা মুগ্ধ হন। সচেতন হাওর বাসী জানান,এখন প্রয়োজন সরকারের বাস্তবমূখী,র্দীঘ মেয়াদী সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে টাংগুযার হাওর কে হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার একটি আকর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে রুপান্তরিত করা।

হাওর উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা তাহিরপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সবাইকে নিয়ে অনুষ্টন সফল করতে। টাংগুয়ার হাওর সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের আগমন গঠে। কিন্তু বার বার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবী জানানোর পর এবং বর্তমান প্রধান মন্ত্রী ৬বছর পূর্বে পর্যটন শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিলেও পর্যটন শিল্প স্থাপনের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের কার্যক্রম হয় নি। তাই এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা দেশ-বিদেশের পর্যটক সহ বর্তমান সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার দাবী জানাব।



মন্তব্য চালু নেই