সিলেটে গায়েব ৩ লাশ সুনামগঞ্জে উদ্ধার

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারিতে গভীর রাতে গর্ত থেকে পাথর উত্তোলনের সময় মাটিচাপায় নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের লাশ সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্য এক শ্রমিকের লাশের সন্ধান দিরাই উপজেলায় পাওয়া গেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের গুলেরগাঁও গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা হলেন কাঠইর ইউনিয়নের গুলেরগাঁও গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (১৮) এবং একই এলাকার মৃত ওয়াতির আলীর ছেলে তোলাই মিয়া (৩০)। দিরাই উপজেলার শ্রমিকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

সুনামগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র কুমার সিনহা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছানাকান্দি বাদেপাশা খেয়াঘাট সংলগ্ন বশির মিয়ার পাথর কোয়ারির একটি গর্তে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় পাথরচাপায় তিন শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহত তিন শ্রমিকের লাশ গোপনে দাফনের জন্য সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) গোয়াইনঘাট থানার ওসি ঘটনাটি জানায়। তখন পুলিশ এসে দুটি লাশ উদ্ধার করে। আরেকটি লাশ দিরাই উপজেলায় নিয়ে দাফনের চেষ্টা চলছে। আটক লাশগুলো ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এসআই পবিত্র কুমার।

নিহত তোলাই মিয়ার বড় ভাই কটাই মিয়া জানান, এক সপ্তাহ আগে প্রথমবার তোলাই মিয়া ও তাঁর প্রতিবেশী ভাতিজা জাকির হোসেন কাজ করতে সিলেটের গোয়াইনঘাট যান। শুক্রবার ভোররাতে হঠাৎ তাঁর কাছে খবর আসে তাঁর ভাই তোলাই মিয়া গোয়াইনঘাটে পাথরচাপায় মারা গেছেন। পরে ভোরে তোলাই মিয়া ও জাকির হোসেনের লাশ আসে অ্যাম্বুলেন্সে। তবে তোলাই মিয়া কার অধীনে কাজ করত তা তাঁদের জানা নেই।

গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোয়াইনঘাটের বিছানাকান্দি বাদেপাশা খেয়াঘাট সংলগ্ন বাছিত মিয়ার মালিকানাধীন পাথর কোয়ারির গর্ত থেকে পাথর ওঠানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় গর্তের মধ্যে থাকা তিন শ্রমিক মাটিচাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। প্রাণহানির ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মালিকের লোকজন রাতেই লাশগুলো সরিয়ে ফেলে।



মন্তব্য চালু নেই