সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে বিএনপির ভোট

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে ২৮শে ডিসেম্বর আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়-পরাজয়ের মূল চাবিকাটি হবে বিএনপির সমর্থিত ভোটারগন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করবে বিএনপি সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের ভোট। কার ভোট বাক্সে পড়ছে বিএনপির সমর্থকদের ভোট এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে জেলার প্রতিটি উপজেলা ও জেলা সদরের চায়ের টেবিলে। কারন আ,লীগের ভোট ভাগ করে নেবেন ইমন-মুকুট কিন্তু বিএনপির ভোটের ভাগ হবার সম্ভাবনা নেই কারন এ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সমর্থিত কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করছে না।

বিশেষ করে চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থী জনপ্রিয় সুনামগঞ্জের সবার প্রিয় মুখ ইমন-মুকুট দু-জনের ক্ষেত্রে বিএনপির সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের ভোট হতে পারে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের গলার কাটা। তবে যে বিএনপির জনপ্রতিনিধিদের ভোট নিজের ভোট বাক্সে রাখতে পারবেন তিনিই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত মনে করছেন সুনামগঞ্জবাসী।

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দু-দিনে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে প্রার্থীরা নিজ নিজ সমর্থিত নেতাকমী ও সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করার পর জেলা জুড়েই প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী,৫টি সংরক্ষিত সদস্য পদে মহিলা সদস্য ২০জন প্রার্থী এবং ১৫টি ওয়ার্ডের ৮৭জন সাধারন প্রার্থী। সর্ব মোট ১১১জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমাদান দেন। গত শনিবার যাচাই-বাছাইয়ে আজিজুল হকের সদস্য পদে ত্রুটি থাকায় মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলা,৮৭টি ইউনিয়ন এবং ৪টি পৌরসভায় জেলা পরিষদের মোট ভোটার ১২৬৫জন। এর মধ্যে ৩২৮জন জনপ্রতিনিধিই বিএনপির সমর্থক। অর্থাৎ এবার সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিএনপির ভোটার ২৭শতাংশ। সুনামগঞ্জে মুকুট-ইমনের ব্যাপক জনপ্রিয়তায় থাকায় বিএনপির সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের বেশির ভাগ ভোট কার পক্ষে যায় এটাই এখন দেখার জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে সুনামগঞ্জবাসী।

জানাযায়,দক্ষিন সুনামগঞ্জে বিএনপির ইউপি চেয়ারম্যান ১জন,সদস্য ৪০জন,বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান সহ ৩জন,সদস্য ১৪জন,সুনামগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যান সহ ৫জন,সদস্য ৫০জন,জামালগঞ্জে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ চেয়ারম্যান ২৮জন,সদস্য ২০জন,ছাতকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ২,সদস্য ৪২জন,দোয়ারাবাজার চেয়ারম্যান সহ ৪,সদস্য ৩০জন,দিরাই-শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান,ইউপি চেয়ারম্যান ৮জন,সদস্য ৫৫জন,ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান ৪জন,সদস্য ৪৭জন,তাহিরপুরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান ৭,সদস্য,৪০জন,ছাতক পৌরসভায় কাউন্সিলর ২,জগন্নাথপুরে কাউন্সিলর ১,সুনামগঞ্জ পৌরসভা কাউন্সিলর ২জন বিএনপির সমর্থক।

তাই এই সব ভোটারদের কে প্রার্থীরা নিজেদের সমর্থিত করতে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্থ সময় পার করছে দিন-রাত উপেক্ষা করে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত। ফলে জেলা পরিষদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে জেলার ১১টি উপজেলার হাট বাজারের চায়ের ষ্টলে ভোটার ও দলীয় সমর্থক নেতা কর্মীদের মাঝে উৎসবের পরিবেশ। সেই সাথে পছন্দের প্রার্থীদের ভাল মন্দ বিচার-বিবেচনা নিয়ে হিসাব করছেন সবাই। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন আ,লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেয়েছেন,এদিকে হেভিওয়েট প্রার্থী এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক ও আ,লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট,অন্য দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে মোঃ আহবাব হোসেন চৌধুরী,প্রবাশী চঞ্চলা রানী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছে।

৫টি সংরক্ষিত সদস্য পদে মহিলা সদস্য প্রার্থী ২০জন হলেন,১নং ওয়ার্ডে ইয়াছমিন ও সেলিনা বেগম,২নং ওয়ার্ডে ফৌজিয়ারা বেগম শাম্মী,রাজিয়া খাতুন,সৈয়দা আমিনা আখঞ্জি,মোছাঃ তাহমিনা বেগম,সামিনা চৌধুরী,সাদিয়া বখত,ফেরদৌসি সিদ্দিকা,সানজিদা নাসরিন দিনা,মোছাঃ মদিনা আক্তার,রাবেয়া সিদ্দিকি,৩নং ওয়ার্ডে বীনা জয়নাল,রাজরানী চক্রবর্তী,মোছাঃ ফিরোজ বেগম,ফারহানা ইয়াসমিন সীমা,৪নং ওয়ার্ডে রওশন আরা বেগম,সাবিনা সুলতানা,৫নং ওয়ার্ডে মোছাঃ নুরুন্নাহার সেলিনা আক্তার,এবং ১৫টি ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য পদে ৮৭জন প্রার্থীরা হল,১নং ওয়ার্ডে আবুল হোসেন খাঁ,জুনাব আলী,মেহেদী হাসান উজ্জল,এড্যাঃ মোঃ মুস্তাফিজ আলী পীর,জিল্লুর রহমান,আতিকুর রহমান আতিক,২নং ওয়ার্ডে মোঃ আব্দুল কাইয়ুম মজনু,মোঃ আব্দুস ছালাম,মোজাম্মেল হোসেন রুকন,মোঃ হারুনর রশিদ,প্রভাকর তালুকদার পান্না,৩নং ওয়ার্ডে শামিম আহমেদ মুরাদ,মোঃ জুবায়ের পাশা হিমু,সৈয়দ আমিনুল হক হেলাল,৪নং ওয়ার্ডে আশহাদুর রহমান,কল্যান ব্রত তালুকদার,সৈয়দ খালেদ আহমদ,মোঃ গুল আহমদ,মোঃ আব্দুল মুকিদ চৌধুরী,মোঃ মিছবাহ উদ্দিন,৫নং ওয়ার্ডে মোঃ আলম নূর,মোহাম্মদ ফারুক রশীদ,সৈয়দ আহম্মদ,মোঃ মহিবুর রহমান,মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার,মোঃ মমিনুল ইসলাম,এ,এইচ এম হাসান বশির,মোঃ শামসুজ্জামান শাহ,মোঃ আবু ছাইদ,মোঃ হোসেন আলী,মোঃ সাজ্জাদুর রহমান,৬নং ওয়ার্ডে মাজহারুল ইসলাম,জুবের আহমদ অপু,মোঃ ইয়াকুব বখত,সৈয়দ তারিক হাসান,মোঃ মনির উদ্দিন,মোঃ জসিম উদ্দিন,মোঃ ওয়াহিদুর রহমান সুফিয়ান,জিয়াউর রহমান,আব্দুল মজিদ,মোঃ ইকবাল মাহমুদ,৭নং ওয়ার্ডে আব্দুল্লাহ,মোঃ আসাদুর রহমান,শাহাব উদ্দিন,রেজাউল আলম,জহিরুল ইসলাম,আব্দুল কাইয়ুম,জাহাঙ্গীর,৮নং ওয়ার্ডে মোঃ নাজমুল হক,সোহেল আহমদ ছইল মিয়া,সৈয়দ বদরুল আলম,৯নং ওয়ার্ডে মোঃ নরুল হক তালুকদার,পীযুষ শেখর দাস,বাদল চন্দ্র দাস,বেলাল আহমদ,আবু আব্দুল্লাহ চৌধুরী,মোঃ আবুল লেইছ চৌধুরী,রান্টু লাল দাস,১০নং ওয়ার্ডে মোঃ ইমদাদুর রহমান,আব্দুল মতলিব চৌধুরী,মোঃ নরুল আমিন,হারুন মিয়া,মোঃ সোহেল মিয়া,মোঃ আব্দুল জব্বার,শহীদুর রহমান শহীদ,মাহতাব উল হাসান,মোঃ ছালেক উদ্দিন,মোঃ এনায়েত খাঁন,১১নং ওয়ার্ডে সৈয়দ ছাবির মিয়া,শাহজাহান সিরাজী,আবুল হোসেন লালন,১২নং ওয়ার্ডে মোঃ সিরাজুল হক,তোফায়েল আহমদ তালুকদার,মোঃ রেজা মিয়া তালুকদার,মোহাম্মদ আব্দুল আজাদ,ফয়সল আহমদ,১৩নং ওয়ার্ডে নরুল ইসলাম,আমিনুর ইসলাম সেলিম,মোঃ আব্দুল খালেক,মোঃ আক্রামুল হাসান মাছুম,১৪নং ওয়ার্ডে মোঃ আশিক আলী,মোঃ এনামুল হক,মোঃ আজমল হোসেন,মোহাম্মদ আফছর উদ্দিন,১৫নং ওয়ার্ডে মোঃ ছানাউর রহমান তারূকদার,মোঃ আব্দুস সহিদ মুহিত।



মন্তব্য চালু নেই