আ'লীগের মামলায় বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেফতার
তাহিরপুরে আ’লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে মহিলা সহ আহত শতাধিক
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ৫টি পৃথক পৃথক স্থানে সংর্ঘষের ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান এবং মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আ,লীগের মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,আজ সকাল নয়টায় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া বাজারের কয়লা ডিপোর সামনে দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সবুজ আলম বিএনপির দলীয় বিদ্রোর্হী নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও একেই ইউনিয়নের আ,লীগের দলীয় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী ইউনুছ আলীর লোকজনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক প্রর্যায়ে সংর্ঘষ লিপ্ত হয়। এতে দশজন আহত হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে আব্দুল হকের ছেলে ফজলু মিয়া বাদী হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সবুজ আলম সহ নয় কে আসামী করে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের পরপরেই তাহিরপুর থানা পুলিশ বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান সবুজ আলম কে বেলা ১১টায় তাহিরপুর বাজারের নৌকা ঘাট থেকে গ্রেফতার করে দুপুরে ২টায় সুনামগঞ্জে চালন করেছে পুলিশ।
এছাড়াও উপজেলায় গত রবিবার দুপুর ২টায় দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের সোলায়মানপুর বাজারে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী সিরাজুল হক ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাবুল মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহতদের মধ্যে ৬জন কে তাহিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দিকে বিকাল ৩টায় বালিজুরী ইউনিয়নের বাজারে আ,লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান ও তার ভাতিজা বিএনপির দলীয় বিদ্রোহী পরাজিত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনে পরাজযের কারনে একে অপরকে দুশারুপ করে কথা কাটা কাটির এক প্রর্যায়ে এক দু-পক্ষের লোকজন দেশিও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষে লিপ্ত হয়।
এসময় বিএনপির দলীয় বিদ্রোর্হী চেয়ারম্যান প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনের অফিস-ঘর সহ ৪টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে আতাউর রহমানের লোকজন। এসময় উভয় পক্ষের ৩০জন আহত হয়। গুরুত্বর আহতদের মধ্যে সাফায়াত হোসেন(৩৮)কে তাহিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ৫টার দিকে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট নতুন বাজারে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী খছরুল আলমের সমর্থিতরা বিজয় মিছিল বের করে এসময় তারা একে অন্যন্যের উপর রং ছিটিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। রং ছিটানো কে কেন্দ্র করে আ,লীগের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁর লোকজন ও বিএনপি সমর্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটির হয়।
এক প্রর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। বিএনপির ও আ,লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বালিয়াঘাট বাজারে দু-দলের দলীয় অফিস সহ আল্লাহর দান স্টোর,মামুন স্টোর সহ ১০টি ব্যবসায়ী দোকানে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় ৩০জন আহত হয়। সংর্ঘষে গুরুতর আহতদের কে তাহিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন,বালিয়াঘাট গ্রামের আলী বাদশা(৩৫),সেবলু মিয়া(৩০),মাফিক মিয়া(৩৩),জিয়া (২৮),কালন মিয়া (৬০),সজিম খাঁ (৩৫),কাজল খান(২৩),সিজিল(৩৫)।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপর দিকে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের জামালগড় গ্রামের দু মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রাত সাড়ে ৮টায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২০জন আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহতদের মধ্যে ৫জন কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তর শ্রীপুর ও বালিজুড়ী ইউনিয়নের দু-পক্ষের লোকজনের মধ্যে উৎত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন,আ,লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়ে এখন নানা অজুহাতে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে আর মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
মন্তব্য চালু নেই