চলার শক্তি নেই, তবু ভোট দিতে কেন্দ্রে
স্ট্রোক করার পর চলাচলের শক্তি হারিয়েছেন সাত বছর আগে। বিছানাতেই শুয়ে কাটে বেশিরভাগ সময়। স্বাভাবিক চলাচল তো দূরের কথা অন্যের সাহায্য নিয়েও চলতে দারুণ কষ্ট হয়। তবুও নিজের এলাকায় ভোট। তাই ঘরে থাকতে পারলেন না এই রউফ মিয়া।
ছেলের হাত ধরে ও লাঠিতে ভর করে সাত সকালেই এসেছেন নবাব হোচ্ছাম হায়দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে যেন তৃপ্তির ঢেঁকুর গিললেন রউফ মিয়া। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ১২নম্বর ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রে রউফ মিয়ার দেখা মেলে।
ভোট বরাবরই বাংলাদেশে এক উৎসবের নাম। পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকলেই দেখা যায় রউফ মিয়াদের। কুমিল্লায় সকাল থেকে দেখা গেলো এমনই নানা চিত্র। রউফ মিয়া যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন, সেখানেই শারীরিকভাবে অসুস্থ, চলাচলে সমস্যা হচ্ছে তবুও ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে বেশ কজন ভোটারকে।
এমন একজন সাবেক প্রকৌশলী কামাল আহমেদ। তিনি চলাফেরা করেন লাঠিতে ভর দিয়ে। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘খুবই সুন্দর পরিবেশ। এমন পরিবেশ সারাদিন থাকুক এটাই প্রত্যাশা। আর এমন পরিবেশ জাতীয় নির্বাচনেও থাকে তাহলে আমরা খুশি।’
রফিক নামের এক তরুণ ভোট দেয়ার পর বললেন, ‘সকাল সকাল ভোট দিলাম যাতে কাজ শেষ হয়। এখন ফ্রি। খুবই ভালো পরিবেশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সবাইকে স্বস্তি দিয়েছে।’
শুরু এরাই নয় এ পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে যারাই ভোট দিতে এসেছেন সবাই স্বস্তির কথা জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এই পরিবেশ যেন বজায় থাকে এমনটি প্রত্যাশা সবার।
মন্তব্য চালু নেই