কম্পিউটার অপারেটর নয়ন সাময়িক বরখাস্ত ॥ তদন্ত শুরু
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি কৃষি ব্যাংক থেকে উপজেলা পরিষদের সঞ্চয়ী হিসাবের চেক জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। অবশেষে সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদের সার্টলিপিকার- কাম- কম্পিউটার অপারেটর আল কামাল ওরফে নয়নকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।
জানাগেছে, উপজেলা পরিষদের চেক বই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়। অফিস সুপার নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর গ্রহন শেষে ফাইলটি প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সার্টলিপিকার- কাম- কম্পিউটার অপারেটর আল কামাল ওরফে নয়নের নিকট। আর এ ফাইলটি উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর শেষে অফিস সুপারের নিকট আসলেই ধরা পড়ে একটি চেকের পাতা গায়েবের ঘটনা। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের সাথে অফিস সুপার মনিরুজ্জামান পরামর্শ করে এবং ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে গত ৬ মে বালিয়াকান্দি থানায় ২০২ নম্বর জিডি করে।
ব্যাংকে খোজ নিয়ে জানাযায়, চেক জালিয়াতির ঘটনার পর উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। চেক নিয়ে ৭৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে জনৈক রফিকুল ইসলাম। চেকে হাতের লেখাটি কার উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সার্টলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর আল কামাল নয়নের । তবে কে এই রফিকুল ইসলাম তার কোন অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও চেকের পিছনে দেওয়া মোবাইল নং-০১৭১৪-৬৫২২২৭ কক্সবাজারের হোটেল সীগালের এক কর্মচারীর। বিষয়টি প্রকাশ পেলে গত ৭ মে কৃষি ব্যাংক বালিয়াকান্দি শাখার উপজেলা পরিষদের সঞ্চয়ী হিসাব ৪৬৭৪ নম্বরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সার্টলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর আল কামাল নয়নের ভাই সোনাপুর মীর মশাররফ হোসেন কলেজের প্রভাষক আল বাসেত খোকন ৭৭ হাজার টাকা জমা প্রদান করেছেন।
জিডির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন বালিয়াকান্দি থানার এস,আই শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি অধিক তদন্তের স্বার্থে ও জড়িতদের চিহিৃত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান গত ৭ মে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলামকে প্রধান ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম এবং উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ এহিয়াতুজ্জামানকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান গঠিত ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার বিকালে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলাসহ লিখিত বক্তব্য গ্রহন করা হয়েছে। তবে ৫ কর্মদিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদের সার্টলিপিকার- কাম- কম্পিউটার অপারেটর আল কামাল ওরফে নয়নকে সাময়িক বরখাস্ত করে পত্র প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই