একদল কিশোরের বুদ্ধিতে বেঁচে গেল পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা

একদল কিশোরের বুদ্ধিমত্তায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এঙ্প্রেসের হাজারো যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। রেললাইনের একটি জয়েন্টে ফিশপ্লেট না থাকায় স্থানীয় কয়েকজন কিশোরের বুদ্ধিমত্তায় ট্রেনটি থামানোর কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বানাসুয়া নামক এলাকায় গত সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা করায় ট্রেনের যাত্রীরা নেমে কিশোরদের জড়িয়ে ধরে তাদের অভিনন্দন জানান।

রেলওয়ে সূত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রেনের যাত্রীরা জানান, সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এঙ্প্রেস ট্রেনটি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বানাসুয়া এলাকায় পৌঁছলে লাল গেঞ্জি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর ট্রেনটি থামানোর সংকেত দেয়। এতে ট্রেনের চালক ওই স্থানে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে ট্রেনের নিরাপত্তা কর্মীসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন- রেললাইনের জয়েন্টের ২টি ফিশপ্লেট খোলা থাকায় রেললাইনটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল।

বানাসুয়া এলাকার কিশোর সুমন, সোহেল, ফারুক, হাবিব, জনি, আশিক, শাকিব, পুলক জানান, আমরা রাস্তার পাশে ক্রিকেট খেলার সময় রেললাইনে ফিশপ্লেট না থাকায় একটি জয়েন্টের অংশ ঝুঁকিপূর্ণ দেখে লাল গেঞ্জি উঁচিয়ে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটিকে রক্ষা করতে পেরে ওই কিশোরসহ এলাকার লোকজন বেশ আনন্দিত। এ সময় ট্রেনের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বিষয়টি রেলের কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করেন।

প্রকৌশলী আবু তাহের ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি পর্যবেক্ষণ করে প্রায় আধা ঘণ্টা পর ট্রেনটির গতি কমিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। কুমিল্লা রেলওয়ে প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই অনেক সময় রেললাইন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থেকে ট্রেন দুর্ঘটনায় পতিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই