আইএসে যোগ দিতে যাওয়া তিন বাঙালী কিশোরীর খোঁজে তুরস্কে ব্রিটিশ পুলিশ

লন্ডন থেকে যে তিন কিশোরী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে যোগ দিতে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে , তাদের খোঁজে ব্রিটিশ পুলিশের একটি দল তুরস্কে পৌছেছে। সোমবার দলটি তুরস্কের পৌছে। তবে তারা সেখানে ঠিক কি করবেন সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষে থেকে কিছু জানানো হয়নি।

স্কটল্যান্ডে ইয়ার্ডের একজন মুখপাত্র শুধু জানিয়েছেন, “তদন্তে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ সব ধরণের সাহায্য করছে।”

১৫ এবং ১৬ বছরের এই তিন কিশোরীর মধ্যে শামিমা বেগম এবং খাদিজা সুলতানা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। এদের মধ্যে শামিমা বেগম বড় বোনের পাসপোর্ট বহন করছিল বলে আজ নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।

এদিকে কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে তিনটি কিশোরী তুরস্কের বিমানে উঠতে পারলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আকসা মাহমুদের টুইটার অ্যাকাউন্ট পুলিশের নজরদারিতে থাকলেও, শামিমার বার্তা তাদের নজর এড়িয়ে গেল তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালে আকসা মাহমুদ নামে যে তরুণী স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করতে সিরিয়া গেছে, তার টুইটার অ্যাকাউন্টে শামিমা পালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল।

গত মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় তিন স্কুলছাত্রী। এরা তিনজনই পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন একাডেমী স্কুলের ছাত্রী।বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, ওই দিন দুপুরে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের একটি ফ্লাইটে তিন স্কুলছাত্রী যুক্তরাজ্য ছাড়ে। তারা তুরস্ক সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে গেছে । এই স্কুল থেকে ডিসেম্বরে তাদের বন্ধু একটি সিরিয়া চলে গেছে পুলিশ জানিয়েছে। সেসময় এই তিনজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। ব্রিটেন থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ ছেলেমেয়ে জিহাদে অংশ নিতে মধ্যপ্রাচ্যে গেছে বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই