বিয়ন্সের ঘরে সতীন পুত্র!

সতীন কাটা নয়, গলায় আটকে আছে স্বামীর অবৈধ সন্তান। আইনী মারপ্যাচ আর বিপর্যস্ত মানসিকতায় বর্তমানে দূঃসহ দিন কাটাচ্ছেন পপ গায়িকা বিয়ন্সে নোয়েলস।

২০০৮ সাল থেকে সুখে শান্তিতে সংসার করছেন ৩৩ বছর বয়সী কৃষ্ণসুন্দরী। কিন্তু হঠাৎ ভাগ্যদেবী অপ্রসন্ন হলেন। স্বামী জেজি এবং দুই সন্তান ম্যাথিউ নোয়েলস ও টিনা নোয়েলসকে নিয়ে তার আদর্শ সংসারে ঝড়ের মত হাজির হয়েছে রেমির নামের এক ছেলে।

২১ বছর বয়সী এই ছেলের দাবী, বিখ্যাত র‌্যাপ গায়ক জেজি তার জন্মদাতা পিতা। কোন একটি ট্যুরে ওয়ান্ডা নামের এক নারী ভক্ত জেজির সঙ্গে যৌন সংসর্গে জড়িয়ে পড়েন, যার ফলাফল- রেমির।

২০১০ সালে ওয়ান্ডা আদালতে প্রথমবার জেজির নাম উল্লেখ করেন ছেলের বাবা হিসেবে। তখনই জানা যায় রেমিরের জন্ম থেকেই বাবা হিসেবে পরিচিত রবার্ট গ্রেভস্ তার বাবা নয়।

গত ডিসেম্বরে রেমির ও তার নানী লিলি এই পিতৃত্বের দাবী পেশ করেন আদালতে। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। নতুন করে রেমির ডিএনএ পরীক্ষা করার আর্জি জানান। এবার তাই পিতৃত্বের পরীক্ষায় নামতে হবে বিয়ন্সে পতি জেজিকে।

যদি প্রমাণ হয়, জেজির ঔরসজাত সন্তান রেমির, তবে শুধু ভবিষ্যৎ নয়- অতীত জীবনের সকল খরচের দ্বায়ভার বহন করতে হতে পারে পিতা ও তার পরিবারের। আদালতের সিদ্ধান্ত নিজের পক্ষে যাবে বলে আশা করছে রেমির। এমনকি টুইটারে সেকথা প্রকাশ্যে লিখেছেন তিনি।

স্বামীর আর্থিক এবং নিজের পরিবারিক বিপদটা আঁচ করে রীতিমতো অসহায় অবস্থায় আছেন গ্র্যামি বিজয়ী কণ্ঠশিল্পী বিয়ন্সে। অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে ডিএনএ টেস্টের ফলাফলে।



মন্তব্য চালু নেই