কে এই স্বপন কুমার দাস ?

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারের এক দোকান থেকে টাকা চুরির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে এক যুবককে আটক করলেও লোকজনের মধ্যে থেকে পালিয়েছে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বহরপুর বাজারের ব্যবসায়ী শামীম মল্লিক জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বপন কুমার দাস নামে এক ব্যাক্তি তার দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করে। গত ৫ মে বিকালে দোকানে এসে পেপসি নিয়ে খেয়ে ১শত টাকার নোট দেয়। টাকা রেখে বাকীঁ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। দোকানে রোমন নামে তার ভাতিজাকে বসিয়ে রেখে মাছ ক্রয় করতে গেলে স্বপন এসে রোমনের কাছ থেকে টাকা ভাংতি চায়। সে অপেক্ষা করতে বললে বাধা নিষেধ না শুনেই দোকানে ঢোকে। পরে ফিরে এসে দেখতে পায় ক্যাশ বাক্সে থাকা ৪ হাজার টাকা নেই। বিষয়টি স্বপনকে বললেও সে কোন সদোত্তর দেয় না।বিষয়টি বাজার বনিক সমিতিকে জানানো হয়।

কে এই স্বপন কুমার দাস? এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, স্বপন কুমার দাসের বাড়ী ফরিদপুর জেলার সদরপুর এলাকায়। তার পিতার নাম সমর কান্তি দাস। তার পিতা একজন পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল। স্বপন কুমার দাসের ১ ভাই ও ১ বোন । এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করার কারণে জনরোসে ২০০২ সালে স্বপন কুমার দাস তার ফুফাতো ভাই প্রকাশ দাসের সাথে বহরপুর এলাকায় এসে বসবাস শুরু করে। প্রথমে ভিসিডি ব্যবসা করে বহরপুর বাজার স্কুল গেইট এলাকায়। ৬ মাস না যেতেই তার ফুফাতো ভাই প্রকাশ দাসের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ব্যবসাও গুটাতে থাকে। এরমধ্যে এলাকার মাদক সেবী ও বখাটেদের সাথে তার সখ্যতার হয়। সেই থেকে দাপটের সাথে বহরপুর বাজার এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে আতাত করে অপকর্ম শুরু করে। তার হাতে অনেকেই লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা রয়েছে।

বহরপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, দোকান থেকে টাকা চুরির বিষয়টি নিয়ে স্বপনকে বাজার বনিক সমিতির অফিসে ডাকা হয়। সে আর আসেনি। বৃহস্পতিবার বহরপুর বাজার স্ট্যান্ড এলাকায় স্বপন কুমার দাসকে পেলে ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খানের ঘরে ডেকে আনা হয়। প্রায় শতাধিক লোকজনের মধ্যে থেকে স্বপন পালিয়ে যায়। তবে তার কাছ থেকে একটি পত্রিকার ৬ টি পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। সে দীর্ঘদিন যাবৎ বহরপুর বাজারসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করাসহ মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদেরকে। তাকে আটক করার পর নানা অপকর্মের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, স্বপন এখন বহরপুরের মাদকের গডফাদার। ইয়াবা সেবন ও পাইকারী বিক্রি করে। তাকে একটি প্রভাবশালী মহল তাদের ছত্রছায়ায় রাখে। তার অপকর্মের শিকাররা দ্রুতই প্রশাসনের নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করবেন।

ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খান জানান, স্বপন কুমার দাস নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে বহরপুর এলাকায় থাকে। তাকে চুরির অভিযোগে আটক করে আনা হলেও সে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা তার অপকর্মের বিভিন্ন বর্ণনা দেন।



মন্তব্য চালু নেই