চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে কৃষি ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের কৃষি ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে অর্থ আতœসাতের চাঞ্চল্যেকর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার বালিয়াকান্দি থানায় জিডি হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তবে এ জালিয়াত চক্র অফিসের অভ্যন্তরের না বাহিরের তা নিশ্চিত করবে তদন্ত কমিটি।
বালিয়াকান্দি থানা ও নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বালিয়াকান্দি শাখায় উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাতের সঞ্চয়ী হিসাব নং-৪৬৭৪। এ হিসাবের বিপরীতে অর্থ উত্তোলনের জন্য সংগৃহিত চেক বইয়ের একটি পাতা ৭৩০৫৮৫০ নম্বর পাওয়া যাচ্ছিল না। অফিস সুপার মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে অবগত করেন।

বিষয়টি তাৎক্ষনিক কৃষি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গত ৫ মে জনৈক রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ০১৭১৪-৬৫২২২৭ নম্বর মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের যৌথ সাক্ষরে ৭৭,০০০ টাকা উত্তোলন করে। অফিসের অনুমোদন বিহীন ভাবে টাকা উত্তোলন হওয়ায় অফিস সুপার বালিয়াকান্দি থানায় বুধবার সন্ধ্যায় সাধারন ডায়রী নং ২০২ দায়ের করেন। যেহেতু যৌথ সাক্ষরে টাকা উত্তোলন হয় , সেহেতু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর শেষে উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য দপ্তরে চেক বহি যায়। ফলে এ সুযোগে অজ্ঞাত জালিয়াত চক্র সুকৌশলে চেক বইয়ের একটি পাতা গায়েব করে। বিষয়টি জানতে পেরে থানায় জিডি করেন।
কৃষি ব্যাংক বালিয়াকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক এ,এস,এম জাকারিয়া জানান, তিনি ওই দিন ছুটিতে ছিলেন। এ চেক জালিয়াতির বিষয়টি ব্যাংকের কর্মরত অফিসার বা উপজেলা প্রশাসনের কেউ অবগত করেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওইদিন দায়িত্বে থাকা কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আনোয়ারা বেগম জানান, তার ব্যাংক থেকে ওই নম্বরের চেকে কোন টাকা উত্তোলন হয়নি। তবে জিডির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, কৃষি ব্যাংক থেকে আমার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ৭৭ হাজার টাকা উত্তোলন হয়েছে। চেক জালিয়াতির বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি আরো তদন্তের স্বার্থে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলামকে প্রধান ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম এবং সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ এহিয়াতুজ্জামানকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে জানান, কত চেকেই তো স্বাক্ষর করি, না দেখলে বুঝতে পারব না। এটা উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলের খাত এখান থেকে বিভিন্ন সময় টাকা জমা ও উত্তোলন করা হয়।
































মন্তব্য চালু নেই