স্কাইপেতে রাজ্য চালান আফ্রিকার রাজা

টোগবে গোরিফিয়া সেফাস কোসি বানাস। আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব ঘানার হোহেই এলাকার এই রাজা রাজ্য শাসন করেন ইন্টারনেটে ভিডিও চ্যাটের সফটওয়্যার স্কাইপের মাধ্যমে। তিনি থাকেন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের একটি গ্রামে। সম্প্রতি তার সেই প্রাসাদ থেকে চুরি গেছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঐতিহ্যের ধারক রাজদণ্ড, মুকুট ও সোনার চেইন।

৬৬ বছর বয়সী টোগবে বিদেশি ছাত্র বিনিময় প্রোগ্রামের আওতায় জার্মানিতে যান। সেখানে গ্যাব্রিয়েল নামে এক জার্মান তরুণীর প্রেমে পড়েন তিনি। এরপর থেকে সেখানে থিতু হয়েছেন। টোগবের বাড়িটি ফ্রাঙ্কফুর্টের ৪৯ মাইল দক্ষিণে লুডভিগশাফেন গ্রামে।

সেই বাড়ি থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া রাজকীয় জিনিসগুলো চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দোতলার বারান্দা দিয়ে চোর বাড়িতে প্রবেশ করে। দরজা খুলে ক্যাবিনেট ভেঙে সবকিছু লুটে নিয়ে গেছে।’

টোগবের চুরি যাওয়া এসব জিনিসের দাম অবশ্য খুব বেশি নয়। সর্বসাকুল্যে ১৫ হাজার ৯শ ডলার। তবে যতোই কম দামী হোক টোগবের দাবি এগুলো তার পরিবারের ও দেশের এমন স্মৃতিচিহৃ যেগুলো ক্ষতিপূরণ হওয়ার নয়।

দাদার মৃত্যুর পর ১৯৮৭ সালে সিংহাসনে বসেন টোগবে। তাকে তার বাবা ও বড় ভাইয়ের পরিবর্তে ক্ষমতায় বসানো হয়। কারণ তারা দুজনই ছিলেন বাঁ-হাতি। স্থানীয়দের বিশ্বাস বাঁ-হাতিরা অপরিচ্ছন্ন ও অসৎ হয়।

জার্মানিতে বসেই স্কাইপে ও টেলিফোনের মাধ্যমে টোগবে তার দেশ হোহের দুই লাখ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করেন। দূরে বসে দেশ শাসন করলেও নিজের মানুষের জন্য কিন্তু টোগবের অনেক দরদ! দেশের মানুষদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জার্মানিতে বিভিন্ন পন্থায় প্রচারণা চালান তিনি। তিনি হোহেতে ২২ জন চিকিৎসক দিয়ে একটি হাসপাতাল চালু করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই