সুটকেসে লুকানো বৌ!

স্বামী ফরাসি আর বৌ রাশান। এরকম তো হতেই পারে। বিশেষ করে ইউরোপে-যেখানে বিয়ের ক্ষেত্রে জাত-পাত দেখা হয়না। কিন্তু রাশিয়ান বৌকে নিজ দেশে নেয়ার সময় ভালোরকম বিপদে পড়েছিলেন ওই ফরাসি নাগরিক।
ঘটনাটা তবে খুলেই বলি। রুশ নাগরিক ওই বৌটির ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ)পাসপোর্ট নেই। তখন ষাটোর্ধ ওই স্বামী এমিগ্রেসনের ঝুট ঝামেলা এড়াতে বৌকে একটা বড় সুটকেসে ঢুকিয়ে দিলেন। এরপর নিজের সমান ওই সুটকেস নিয়ে শুরু করলেন যাত্রা। মস্কো থেকে ট্রেনে চড়ে বসলেন। কিন্তু বেলারুসের কাছে টেরেসপোল রেলস্টেশনে পোলিশ সীমান্তরক্ষীদের নজরে পড়ে ওই সুটকেস। মানুষ্য সাইজের ওই সুটকেস দেখেই তাদের সন্দেহ হয়। সুটকেস খুলতেই বেরিয়ে আসে ৩০ বছরের এক সুন্দরী নারী। দীর্ঘক্ষণ সুটকেসে থাকার ফলেও তার কোনোই সমস্যাই হয়নি। তিনি দিব্যি সুস্থ আছেন। এমনকি কোনো মেডিকেল চেক আপয়েরও প্রয়োজন হয়নি তার।
পাসটপার্ট ভিসা ছাড়া এভাবে সুটকেসে চড়ে ভ্রমণের কারণে তাদের তিন বছরের জেল হওয়ার ঝুঁকি ছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দম্পতিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে বেলারুশ পাঠিয়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনা সম্পর্কে সীমান্তরক্ষীদের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই ফরাসি নাগরিক স্ত্রীকে তাঁর পাশে বসিয়ে ভ্রমণ করতে পারতেন। কেননা ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকেরা ইইউবহির্ভূত দেশের স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়ে বিনা পাসপোর্টেই ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আনতে পারেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে তাদের বিয়ের প্রামাণ দাখিল করতে হত। কিন্তু এই সহজ রাস্তা বাদ দিয়ে তারা সুটকেস ভ্রমণকে বেছে নিলেন কেন সেটি অবশ্য স্পষ্ট নয়।
এ সম্পর্কে দারিউসজ নামের ওই মুখপাত্রের মন্তব্য,‘ জীবনে প্রথম এমন ভ্রমণ দেখলাম। ওই নারীকে তো খুব সহজেই মানব পাচারকারীরা তুলে নিতে পারবেন।’



মন্তব্য চালু নেই