তিন সিটি নির্বাচন

সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ইসির, বিএনপির দাবি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

ঢাকা (উত্তর-দক্ষিণ) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল এ চারদিন সেনা মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বুধবার গণমাধ্যমে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ১৯ এপ্রিল আমরা বৈঠক করেছি। সবাই পরিস্থিতি ভাল বলেছেন। তারপরও নির্বাচন নিয়ে যাতে জনমনে কোনো ভীতি কাজ না করে এ জন্য সেনা মোতায়েনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী রিজার্ভ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’

২৮ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, নির্বাচনে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে ইসির সাথে এক বৈঠকে এ দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। ‘বিচারিক ক্ষমতা না দিয়ে শুধু টহল দেয়ার জন্য সেনা বাহিনী মোতায়েন করলে লক্ষ্য সফল হবে না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের কার্যালয়ে তার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেড়িয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘সেনা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে বিচারিক ক্ষমতা না দিয়ে শুধু টহল দেয়ার জন্যই সেনা বাহিনীকে মোতায়েন করলে আসল লক্ষ্য সফল হবে না।’

মওদুদ আহমেদ জানান, সিইসির কাছে ১২ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার গাড়ি ব্হরে হামলার ব্যবস্থা নেয়া, আগামী ৭দিনের মধ্যে নেতাকর্মীকে হয়রানি না করতে পুলিশকে অনুরোধ ইত্যাদি বিষয় রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সিইসির কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন। দলে আরো ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির দু’জন সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। তিন সিটি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্যই সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি বৈঠকে বসেছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই