ছয় ধাপের ইউপি ভোট: আওয়ামী লীগ ২৬৭০, বিএনপি ৩৭২

ব্যাপক সহিংসতা ও হতাহতের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত দলীয়ভাবে ছয় ধাপে শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ২ হাজার ৬৭০ জন চেয়ারম্যান পেয়েছেন। আর বিএনপি পেয়েছে মাত্র ৩৭২ জন।

এই নির্বাচনে এক ডজন দল অংশ নিলেও মূলত লড়াই হয়েছে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন ৮৮০ জন।

নির্বাচন কমিশনের হিসেবে, প্রথম ধাপে ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৭৬ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৭৭ শতাংশ ও পঞ্চম ধাপে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর শনিবার অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট পড়ে।

প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফলে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হয়েছেন ৪৯৪ জন ও বিএনপির ৫০ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ১০৯ ইউপিতে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৫৪ জন।

দ্বিতীয় ধাপে নৌকা প্রতীকের ৪১৯ জন ও ধানের শীষের ৬৩ জন বিজয়ী হন। ১১৭ ইউপিতে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের ৩৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

তৃতীয় ধাপের ভোটে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান হয়েছেন ৩৬৬ জন; বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৯ জন। বিএনপির প্রার্থীরা ৬০টি ইউপিতে জয়ী হয়েছেন; স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ১৩৯টিতে।

চতুর্থ ধাপে নৌকা প্রতীকের ৪০৫ জন জয়ী হয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ৩৫ জন। এ ধাপে বিএনপির ৭০ জন ও ১৬১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন।

পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগ থেকে ৩৯২ জন ভোটে এবং ৩৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর বিএনপির ৬৭ জন, স্বতন্ত্র ১৭০ জন, জাতীয় পার্টির ৯ জন এবং অন্য দলের একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়েছেন।

ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৬৮টি ফলাফল সমন্বয় করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ৪০৩টিতে, বিএনপি ৬২ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৮৪ ইউপিতে।

অনিয়মের কারণে কেন্দ্র স্থগিত থাকায় ১৩ ইউপিতে ফের ভোটগ্রহণ করবে সংস্থাটি। এছাড়া ১৭টি ইউপি রাঙ্গামাটির প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় ফলাফল এখনো পৌঁছেনি।

ষষ্ঠ ধাপে ২৪ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগে ২২ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দু’জন। শেষ ধাপে জাতীয় পার্টি ১৫টি, জেপি একটি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি ইউপিতে জয় লাভ করে।

মোট এক কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৯ জন ভোটারের মধ্যে ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৭ জন ভোটার ভোট দেন। অর্থাৎ ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সবগুলো ইউপির ফলাফল আসতে আরও সময় লাগবে। কেননা, পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু ইউপির ফল কারিগরি সমস্যার কারণে মাঠ কর্মকর্তারা পাঠাতে পারছেন না।



মন্তব্য চালু নেই