ইউপি নির্বাচন: আ.লীগ ৩৮৮, বিএনপি ৬১, অন্যান্য ২১৪

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ও শেষ ধাপের আংশিক ফলাফল পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ৩৮৮, বিএনপি ৬১ এবং অন্যান্য প্রার্থীরা ২১৪ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।

এর আগে শনিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত দেশের ৬৯৮টি ইউপিতে একটানা ভোটগ্রহণ চলে।

আগের পাঁচ পর্বের মতো আজকের নির্বাচনেও সংঘর্ষ-সহিংসতা, ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল, নির্বাচন বর্জন ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফেনী, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, সুনামগঞ্জ ও নোয়াখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন।

গত পাঁচ ধাপের নির্বাচনে সহিংসতায়ও ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া নজিরবিহীন কারচুপির অভিযোগও ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেষ ধাপের নির্বাচন অনেকটা সুষ্ঠু করার আশ্বাস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচনের শুরুর দিকে কিছুক্ষণ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ঘোলাটে হতে থাকে। ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গা থেকে আসে সংঘর্ষের খবর। অধিকাংশ সংঘর্ষ হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী ও বিএনপির সমর্থকদের।

শেষ ধাপের ভোটগ্রহণের পর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতা এবং অনিয়ম প্রতিরোধে সমাজে সংস্কার আনতে হবে। এজন্য সামাজিক দায়িত্বও আছে। আমরা সব ধাপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই ৬ষ্ঠ ধাপের আগের রাতে সিল মারার ঘটনা একদমই ঘটেনি।



মন্তব্য চালু নেই