ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি

সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি অভিযোগ করে সু-শাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এই নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও কারচুপি ছিল এবং মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে।

রোববার সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণগবেষণা সমিতির (জিজিএস) ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন।

‘এখন জীবনের দাম ছাড়া সবকিছুর দাম বেড়েছে’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, ‘এই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটেনি। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তাই এসবের দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। তারা যখন এর দায় নেয় না, এটা তাদের বড় ব্যর্থতা। একইসঙ্গে ব্যর্থতা সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে না পারা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনী পদ্ধতি ভেঙে পড়েছে।’

স্থানীয় অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কী করণীয় তা সরকারকে ঠিক করতে হবে।

স্থানীয় নির্বাচন দলীয় ভিত্তিক হলে এইরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আগে থেকে সাবধান করলেও তা কেউ কর্ণপাত করেননি। দলীয়ভাবে নির্বাচন হলে সহিংসতা হবে, মনোনয়ন বাণিজ্য হবে এবং ঘরে ঘরে মারামারি পৌঁছে যাবে। আমরা আগে থেকেই বিষয়টি সাবধান করে আসছিলাম। এ হানাহানির বিষয়টিতে আমরা জাতি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’ পরবর্তীতে সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসবে বলেও আশা করেন তিনি।

প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দলীয়করণের অবসান হওয়া জরুরি মন্তব্য করে সুশীল সমাজের এ প্রতিনিধি আরো বলেন, ‘এসব এড়ানো না গেলে ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু করা সম্ভব হবে না। বিরোধী দলকে সুযোগ দিতে হবে। আমরা বিএনপির পক্ষে বলছি না। যেকোন একটি বিরোধী দল যারা মানুষের কল্যাণে, মানুষের স্বার্থে এবং মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করবে তাদের সুযোগ দিতে হবে।’

সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ঠ সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মুরাদ আলী ও নারীনেত্রী নুরজাহান বেগমসহ ইউপি চেয়ারম্যানরা।



মন্তব্য চালু নেই