রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখান বাশারের

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে ক্লোরিন গ্যাস হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সোমবার ফরাসি টিভি চ্যানেল টুতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিরিয়া সরকার ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করে না বা এ গ্যাস ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। দামেস্ক সরকারের অস্ত্রাগারে অঢেল প্রচলিত অস্ত্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সব অস্ত্র দিয়েই লক্ষ্য হাসিল করা যাবে।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারী ও শিশুদের বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকদের আপ্রান চেষ্টা করতে দেখা যায়। পরে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া যে বোমা ফেলা হয়েছে সেটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমেই ফেলা হয়েছে। সিরিয়ায় কেবল বাশার সরকারের কাছে হেলিকপ্টার রয়েছে।

বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়া কখনোই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, সিরিয়ার উত্তরে তুরস্ক সীমান্তবর্তী একটি রাসায়নিক কারখানা এখনো ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের এ কারখানা দেখার অনুমতি দেয়া হয় নি বলেও জানান তিনি।

এ ছাড়া, ব্যারেল বোমা ব্যবহারের অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্যারেল বোমা বলতে কী বোঝানো হয় তা পাল্টা জানতে চান প্রেসিডেন্ট আসাদ। তিনি বলেন, সিরিয় বাহিনীর এ জাতীয় কোনো অস্ত্র নেই বা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো অস্ত্র কখনোই তার বাহিনী ব্যবহার করেনি।

আইএস সৃষ্টির জন্য আমেরিকাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ইরাকে এ গোষ্ঠীর সৃষ্টি করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই