মালয়েশিয়ায় তুচ্ছ কারনে এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবককে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মেরেছে এক ইন্দোনেশীয় যুবতী ।

ইন্দোনেশীয় ঐ যুবতী বাংলাদেশী যুবকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিলে যুবকের শরীরের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যায় । গুরুতর আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করান।

এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মালয়েশিয়ার সেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি মাত্র সাত হাজার সাতশ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের জন্য ওই যুবতী রাজু নামে বাংলাদেশি যুবকটির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই পেনাংয়ের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট জর্জ টাউনের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাইট থেকে ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার সেবারাই পেলাই তেঙ্গাহ থানার এসিপি রাসুলি মোহাম্মদ নুর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নিহত যুবক রাজুর শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিলো । শুধুমাত্র মুখের কিছু অংশ এবং সহকর্মীদের দেয়া তথ্যে তাকে প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করা হয় ।

তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন রাজু নিজের মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন, অকস্মাৎ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথিমধ্যে ঐ ইন্দো যুবতী রাজুকে থামিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেন , কিছু বুঝে উঠার আগেই রাজুর শরীরের কাপড়-চোপড় ও মোটরসাইকেলে আগুন লেগে যায়।

বর্তমানে ঐ যুবতী পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আছে । আদালতের কাছে পুলিশ ঐ নারীকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছে বলে জানান, এসিপি মিঃ রাসুলি মোহাম্মদ নুর ।

মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা রাজুর ভাগিনা কামরুজ্জামান জানান, ওই নারীটি রাজুর কনস্ট্রাকশন সাইটে মায়ানমার থেকে একজন কর্মী সরবরাহ করেন। এর আট দিন পর ওই শ্রমিক আংশিক বেতন ৩৬০ রিঙ্গিত নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ওই নারী মায়ানমারের নাগরিকের পক্ষে রাজুর কাছে বেতনের টাকা দাবি করেন। এর আগে টাকার বিষয়টি নিয়ে রাজুর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডাও হয়েছিলো ।

রাজু মালয়েশিয়ায় ১৪ বছর ধরে নির্মাণকাজের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তার স্ত্রী ও ১৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেটি যশোরের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।

মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের রাজধানী জর্জ টাউনের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাজু।