ব্রিটিশ মিউজিয়াম সম্পর্কে অজানা তথ্য

ব্রিটিশ মিউজিয়াম ব্রিটিশ জাতির জন্য আস্থা ও বিশ্বের প্রাচীন ও জীবন্ত সংস্কৃতির থেকে শিল্প এবং পুরাকীর্তির একটি সংগ্রহ ঝুলি।

এটা ব্রিটেনের স্থাপত্য চেনার এক আয়োজিত উপায় , যেখানে সংগ্রহ করা আছে মানব ইতিহাসের দুই মিলিয়ন বছরের অস্তিত্ব, এখানে সংগ্রহ অ্যাক্সেস দেখা যায় বিনামূল্যে।

যাদুঘরের সংগ্রহ যাতে সাধারণ জনগণ দেখতে পারে এবং অবাধে আসা যাওয়া ব্যবহার করতে পারে এ ব্যবহারিক নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছিলো। মানব সংস্কৃতির নবজাগরণের ধারণা পেতে তাদের মধ্যে থাকা পার্থক্য ও পারস্পরিক প্রবৃত্তির ধারা বুঝতে চর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে যাদুঘর মানবিক ও সাংস্কৃতিক উন্মেষ ঘটানোর জন্য ব্যাবহার করা হয়। এবং যার চর্চা এখনো বিদ্যমান।

যাদুঘর কতৃপক্ষ দর্শকদের সাথে আলোচনার দ্বারা একটি বৃহত্তর ও বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করে. এই প্রবৃত্তিতে তাদের আরও প্রতিনিধিত্বকারী যাদুঘর আছে, এবং একটি বৃহৎ সাংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তারা দেশে মানুষদেরকে বিশ্ব সাংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।

যাদুঘরে সংগৃহীত আছে গ্রেট ব্রিটেন ও সারা বিশ্বের পোড়া কির্তি ও ইতিহাস। গত সাতচল্লিশ বছর ধরে বিভিন্ন দেশ হতে মানুষ এ জাদুঘর দেখতে আসছে। সেখানে শুধু দেখা না বিভিন্ন সংগ্রহ সম্পর্কে দর্শনার্থিদের জানানোর জন্যেও রয়েছে প্রযুক্তির অভিনব ব্যবহার।

যাদুঘরের আছে নিজস্ব ওয়েবসাইট যা নিছক সংগ্রহ এবং যাদুঘর সম্পর্কে তথ্যের উৎস নয়, বরং তার মূল উদ্দেশ্য একটি প্রাকৃতিক এক্সটেনশনে তুলনামূলক সাংস্কৃতিক তদন্তের একটি পরীক্ষাগার গড়ে তোলা।

যাদুঘর সম্পর্কে অজানা তথ্য:
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৭৫৩
পরিচালক: নিল ম্যকগ্রেগর
দর্শক: ৫.৯৩ মিলিয়ন
সংগ্রহ আকার: ৮ মিলিয়ন বস্তু
সংগ্রহ প্রাচীনতম বস্তু:
স্টোন চপ টুল
প্রায় 2 মিলিয়ন বছর বয়সী
ভবন আকার: ৭৫০০০ M2
৯ ফুটবল পিচ সমতুল্য

ব্রিটিশ মিউজিয়াম আইন ১৯৬৩ অনুযায়ী, গ্রেট রাসেল রাস্তার লন্ডন WC1b 3DG ব্রিটিশ মিউজিয়াম ট্রাস্টি যাদুঘরে এর সংগ্রহ রাখা হবে। দেশের বাইরের দর্শনার্থিদের জন্য ১৯৯৩ আইনের ধারা অনুসারে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান আছে। ফলে লন্ডনে গেলে আপনিও একবার ঘুরে আসতে পারেন ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে।

সম্পাদনা: তাহমিনা আক্তার
সূত্র: দ্যা ব্রিটিশ মিউজিয়াম



মন্তব্য চালু নেই