যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার।
উচ্চকক্ষ সিনেটে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক দল নাকি বিরোধী রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, তা নির্ধারিত হবে এ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে।

বিবিসি ও এএফপির খবরে জানানো হয়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে যে দল বিজয়ী হবে, ২০১৬ সালে হোয়াইট হাউসের জন্য সে দলের প্রার্থীর সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ নির্বাচনে রিপাবলিকানরাই এগিয়ে থাকবে এবং সিনেটে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে। কংগ্রেসের নিম্মকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে আগে থেকেই রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের আর মাত্র ছয়টি আসন প্রয়োজন।
সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী রিপাবলিকান দল। কেননা, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জরিপের ফল তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। নির্বাচনে তারা সাফল্য পেলে সংকটে পড়বেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তার প্রতিশ্রুত সংস্কার প্রস্তাবগুলো কংগ্রেসে মুখ থুবড়ে পড়বে।

এ দলের সিনেটর ও ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী র্যা ন্ড পল বলেন, ‘এটি প্রেসিডেন্ট কে হবেন, সে বিষয়ে গণভোট।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাতাস আমাদের পক্ষে। আমার ধারণা, নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত ভোটাররা।’

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে ডেমোক্র্যাটরাও তৎপরতা চালিছে যাচ্ছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জনপ্রিয়তায় ধস তাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়নের পরেও ওবামার জনপ্রিয়তা ৪০ ভাগের নিচে রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনে রিপাবলিকানরাই বিজয়ী হবে।

অবশ্য ডেমোক্র্যাটরা মনে করেন, তাদের যোগ্যতা প্রমাণিত। এটিই নির্বাচনের আগে তাদের সমর্থকদের উজ্জীবিত করবে এবং নির্বাচনের ফল তাদের অনুকূলে যাবে।

রোববার একটি প্রচারাভিযানে ওবামা তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পরিচিত সবার কাছে গিয়ে তাদের ভোট দিতে নিয়ে চলুন। ঘরে বসে থাকবেন না। আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার ক্ষমতা অন্যের হাতে ছেড়ে দেবেন না।’

প্রসঙ্গত, দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়ে এ নির্বাচন হয় বলে একে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলা হয়। মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাধারণত ভোটার উপস্থিতি কম থাকে এবং যে দল ক্ষমতায় থাকে না সাধারণত সে দলের প্রার্থীদের জয়ই বেশি হয়।

এ বছর সিনেটের ১০০ আসনের এক তৃতীয়াংশের কিছু বেশি, প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সবগুলো, ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৩৬টির গভর্নর এবং অনেক রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তা নির্বাচনের জন্য এ ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

যেসব সিনেট আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- আরকানসাস, কলোরাডো, জর্জিয়া, আইওয়া, কানসাস ও নর্থ ক্যারোলিনা।



মন্তব্য চালু নেই