মুসলিম নিষিদ্ধে নতুন পরিকল্পনা ট্রাম্পের

মুসলিম প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির আভাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটনের পথে থাকা এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝটিকা সাক্ষাতে তিনি এ আভাস দেন।

সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, একটি নতুন নির্বাহী আদেশের কথা ভাবছেন তিনি, যা সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে জারি করা হতে পারে। খবর বিবিসি, রয়টার্সের।

চার মাসের জন্য শরণার্থী গ্রহণ স্থগিত করে গত ২৭ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।

এতে তিন মাসের জন্য সাতটি মুসলিম প্রধান দেশ- ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

ট্রাম্পের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করা হলে সিয়াটলের একটি আদালত নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। পরে ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত বৃহস্পতিবার ফেডারেল আপিল কোর্টের তিন বিচারকের প্যানেলও তা খারিজ করে দেন।

আপিল খারিজ হবার পর ট্রাম্প ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আদালতে দেখে নেব। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এখন ঝুঁকির মুখে।’

কিন্তু নতুন করে তিনি সাংবদিকদের বলেন, ‘আমরা সন্দেহাতীতভাবে এ লড়াইয়ে জিতব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হল, এতে কিছু বেশি সময় লাগছে। তবে একেবারে নতুন করে আরেকটা আদেশ জারি করাসহ আরও অনেক পথই আমাদের সামনে খোলা আছে।’

নতুন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু না বললেও আগের আদেশের খুব সামান্যই পরিবর্তিত হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফেডারেল কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ে আপাতত তারা কোনো পরিকল্পনা করছেন না।

তবে সক্রিয়ভাবেই পুরনো আদেশে পরিবর্তন অথবা নতুন আরেকটি নির্বাহী আদেশ জারির পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন, যেটি আমেরিকাকে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত রাখবে বলে মনে করছে হোয়াইট হাউস।

একই সঙ্গে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশটি সুপ্রিম কোর্টে না নিয়ে বিচার ব্যবস্থায় আর কি কি বিকল্প রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন।



মন্তব্য চালু নেই