মানব পাচার : বাংলাদেশসহ ১৭ দেশ থাইল্যান্ডে বৈঠকে বসছে কাল

এই অঞ্চলের মানব পাচার সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করায় এটিকে প্রধান ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করছে থ্যাইল্যান্ড।

তাই মানব পাচার রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে ক্ষতিগ্রস্থ ১৭টি দেশ আাগামীকাল বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বৈঠকে বসছে। এতে মানব পাচারকে মূল ইস্যু হিসেবে আলোচনায় উপস্থাপন করবে থাইল্যান্ড।

বৈঠকে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড ও জাপানও এ বৈঠকে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম, জাতিসংঘের অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক আজ রাতেই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছেন। মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে একযোগে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট গতকাল পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন।

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। থাইল্যান্ডে মানব পাচারের শিকার শতাধিক মানুষের লাশ উদ্ধার ও সমূদ্রে ভাসমান হাজার হাজার মানুুষকে উদ্ধারে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।

থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানাসাক পাতিপামাপ্রাগর্ন সমুদ্রে ভাসমান অভিবাসীদের ত্রাণ সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক কমিউনিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামীকালের বৈঠকে মানব পাচার রোধে ফলপ্রসূ ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সমুদ্রে ভাসমান অভিবাসীদের সমস্যা আলোচিত হবে। আলোচনায় অভিবাসনের কারণ, উৎস দেশ এবং পাচারের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার বিষয়টির ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সমস্যার সমাধান মানে এই নয় যে, পাচারের উৎস দেশের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়া। তিনি বলেন, ভাসমান রোহিঙ্গাদের থাইল্যান্ডে স্থান দেওয়া হবে না। কারণ, এর আগে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর এক লাখ শরণার্থীকে থাইল্যান্ডে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মানবিক সহায়তা দিতে সব সময়ই প্রস্তুত, কিন্তু সেটা থাইল্যান্ডের আইনানুযায়ী করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই