ভ্যাম্পায়ারের কবর আবিষ্কার

হলিউডের অদ্ভুত সব চলচ্চিত্রের কল্যাণে কমবেশি সবাই এখন ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে জানেন। সামনের দুটো সূচালো দাত দিয়ে মানুষের ঘাড় থেকে রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে ভ্যাম্পায়াররা, এমন চিত্র মোটামুটি আমাদের সবার মস্তিষ্কে গেথে গেছে। কিন্তু বাস্তবে ভ্যাম্পায়ার বাদুড়ের অস্তিত্ব থাকলেও মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই, এটাও সবাই জানেন। তবে হঠাৎ যদি শুনতে পান, এই পৃথিবীতেই আছে রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার মানব তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে ভেবে দেখুন তো। আর এই ভাবনার জগতে আরও একটু রসদ জোগাতে গত সপ্তাহে বুলগেরিয়ার একটি গোরস্থান থেকে ভ্যাম্পায়ারের কঙ্কাল আবিষ্কার করেছে প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

প্রত্নতাত্ত্বিক নিকোলাই ও তার দল বুলগেরিয়ার থারচিয়ান শহরের পারপেরিকন গোরস্থানে এই কঙ্কাল খুঁজে পান। তাদের ভাষায় এই কঙ্গালটি ‘বুলগেরিয়ার ইন্ডিয়ানা জোনস’।

ভ্যাম্পায়ার প্রসঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে নিকোলাই বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, একটা সময় ভ্যাম্পায়ার বিরোধী অনেক আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে। যারা অস্বাভাবিকভাবে মারা গিয়েছেন বা যান তারাই পরবর্তীতে ভ্যাম্পায়ার হতে পারে।’

তবে সবাই যে ভ্যাম্পায়ারের গপ্পো বিশ্বাস করবে তাতো নয়। যেমনটা বিশ্বাস করেননি স্থানীয় অনেক বুলগেরিয়ান। স্থানীয়দের মতে, ওই কবরে অনেক আগে এক মা ও শিশুকে কবর দেয়া হয়েছিল। তাদের বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় তাদের স্বাভাবিকভাবে কবর দেয়া হয়নি, কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তাদের কবর দেয়া হয়েছিল।

আবার কারও কারও বিশ্বাস কবরস্থানে পাওয়া কঙ্কাল দুটি ভার্জিন মেরি ও তার সন্তানের। ১৩ শতকের দিকে বুলগেরিয়ায় তাদের সমাধিস্থ করা হয়েছিল বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন।

বুলগেরিয়ায় জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক বুঝিদার দিমিত্রভ বলেন, ‘এখানকার মানুষের মাঝে শয়তান নিয়ে ভাবনা বেশ প্রবল। তাদের মতে যারা জীবিত অবস্থায় খারাপ কাজ করে তারা পরবর্তীতে ভ্যাম্পায়ার হয়ে যায়।’

২০১২ সালে বিবিসি’র এক রিপোর্টে বুলগেরিয়াতে ১০০টি ভ্যাম্পায়ারের কবর আবিষ্কারের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই