ভোটের এলাকায় রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল

প্রথম ধাপে দেশের ৭২১ ইউনিয়নে (ইউপি) ভোট আগামী ২২ মার্চ (মঙ্গলবার)। এ নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম ধাপে যেসব ইউপিতে ভোট হচ্ছে সেগুলোতে শনিবার থেকে মোটরসাইকেল চালনোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চালানোর উপর এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে কতিপয় যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এবারও তাই করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী তিনদিন আগে থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা রাখতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

এছাড়া ইসির উপ-সচিব মো. সামসুল আলম স্বাক্ষরিত সড়ক বিভাগ, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর পাঠানো নির্দেশনা থেকে জানা যায়, ভোটের দিনের পূর্ববর্তী রাত ১২টা থেকে গ্রহণের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বেবিটেক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো প্রভৃতি যানবাহন চলাচলে নিষেজ্ঞা আরোপ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী তিনদিন থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিল থাকবে। তাছাড়া নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কিছু জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত যানবাহনের চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

এছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় মহাসড়ক (হাইওয়ে), বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

সড়ক বিভাগ, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর পাঠানো আরেকটি নির্দেশনায় নৌ-যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, ভোটের দিনের পূর্ববর্তী রাত ১২টা থেকে গ্রহণের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সকল ধরনের নৌ-যান ও স্পিটবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলা হয়েছে।

তবে সেখানে সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে শুধু লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌযান বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখতে বলা হয়েছে।

এ নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিল থাকবে। তাছাড়া নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কিছু জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

এছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রধান প্রধান নৌ-পথে বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সকল নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূরপাল্লার নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

এদিকে প্রথমধাপের নির্বাচনের ব্যালট পেপারসহ সকল সামগ্রী শুক্রবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসির উপ-সচিব রকিবউদ্দীন মণ্ডল।

ইসির ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ধাপে ২২ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল, চতুর্থ ধাপে ৭ মে, পঞ্চম ধাপে ২৮ মে ও ষষ্ঠ ধাপে ৪ জুন ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই