ভানুয়াতুতে ত্রাণ-ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি, আওতাভুক্ত প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চল
অবশেষে ত্রাণসামগ্রী দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলগুলোয় যেতে শুরু করেছে। ভানুয়াতুর গ্রামের পর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পর খোলা আকাশের নিচে বাস করতে থাকা খাদ্য ও পানীয়বিহীন মানব সমাজে সংকট যখন চরমে, তখন জরুরী ত্রাণ পৌঁছুনোর পর স্বস্তিতে শ্বাস নিতে পারছেন দেশটির মানুষেরা।
সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত যে দ্বীপ: জানা যায়, সাইক্লোন পামের সরাসরি আগমন পথে পড়ে যায় তান্না দ্বীপটি। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় প্রথমসারিতে এ অঞ্চলবাসী। সেখানে বিমানযোগে খাবার, পানি এবং জীবনরক্ষাকারী ঔষধ পৌঁছেছে। তবে দাতাসংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণ বলছে, আসছে সপ্তাহগুলোয় আরও ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন হয়ে পড়বে।
সাহায্য চাওয়ার অভিনব পদ্ধতি: জানা যায়, গ্রামবাসী ত্রাণবাহী বিমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে ধ্বংসাবশেষ দিয়ে ইংরেজিবর্ণ এইচ তৈরি করছে। সাহায্য শব্দের ইংরেজি হেল্প, যার আদ্যক্ষর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এইচ বর্ণটি।
জাতিসংঘ-প্রতিনিধির ভাষ্য: জাতিসংঘর পক্ষ থেকে প্রেরিত পর্যবেক্ষক জো লরি জানিয়েছেন, ভানুয়াতুর প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও ত্রাণের জন্যে হাহাকার লেগে আছে। এ মুহূর্তে জো লরি তান্না দ্বীপে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি দ্বীপে ত্রাণ বিতরণ করার অতীব জরুরী। খাবার, পানীয়, ঔষধ এলেও মাথার ওপর ছাউনির ভীষণ অভাবে ভুগছে দ্বীপগুলোর অধিবাসীরা। এছাড়া সুপেয় পানিও রয়েছে চাহিদার শীর্ষে।
মন্তব্য চালু নেই