বিশ্বের প্রবীণতম স্কুলছাত্রীকে চিনুন

কথায় আছে শিক্ষার বয়স নেই, শেষও নেই। শিক্ষাগ্রহণের জন্য মানুষ এক দেশে থেকে অন্য দেশে যান। তাই প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব শিক্ষায় হতে পারে জীবনের যেকোনো সময়ে।

তাই বলে জীবনের অন্তিম মুহূর্তে ৯০ বছর বয়সে। হ্যাঁ এমনটিই করিয়ে দেখিয়েছেন কেনিয়ার নাগরিক প্রিসিলা সিটিনেই। ৯০ বছর বয়সে এসে জীবনে প্রথমবারের মতো স্কুলে ভর্তি হয়েছেন প্রিসিলা সিটিনেই। সহপাঠীরা তাকে ডাকে বলে ‘গোগো’ বলে। কেনিয়ান ভাষায় গোগো শব্দের অর্থ দাদী।

কেনিয়ার রিফ্ট ভ্যালিতে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, প্রাক্তন ধাত্রী হিসেবে কাজ করা প্রিসিলাই পৃথিবীর প্রবীণতম স্কুলছাত্রী।

তিনি শুধু লিখতে এবং পড়তে শিখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞই নন, স্কুলের নিয়ম রীতিও মেনে চলছেন অক্ষরে অক্ষরে। স্কুল-পোশাক পরে, বাচ্চাদের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন তিনি।

এমনকি অংশ নিচ্ছেন নাচের এবং শারীরিক শিক্ষার ক্লাসেও। রিফ্ট ভ্যালির লিডার্স ভিশন প্রিপারেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তিনি। আকাশি রঙের শার্ট, লাল টাই আর সবুজ সোয়েটার পরে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাসে যান প্রিসিলা।

শুধু শিক্ষকেরাই নন, সহপাঠীরা এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও গোগোকে নিয়ে গর্বিত। এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের তালিকায় গোগোর সাতজন নাতি নাতনিও রয়েছে।

সংবাদদাতাকে গোগো বলেন, ‘আমি বিশ্বের শিশুদেরকে বলতে চাই, বিশেষ করে কন্যা শিশুদেরকে বলতে চাই যে শিক্ষাই তোমাদের সম্পদ। এটা অর্জন করার জন্য পেছনে ফিরে তাকিও না।’

তথ্যসূত্র : বিবিসি, টেলিগ্রাফ।



মন্তব্য চালু নেই